বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, তৃণমূলের প্রার্থী দশরথ তিরকি এবারের লোকসভা ভোটে কামাখ্যাগুড়ি থেকে একটিও ভোট পাবেন না। কামাখ্যাগুড়িবাসী অবহেলার শিকার। আমরা এই অনুন্নয়নের চিত্রগুলি তুলে ধরে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছি। জেলা ভাগ হবার পর আলিপুরদুয়ার সদর শহরে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে সেই তুলনায় জেলার ব্লকগুলি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। শাসক দলের জেলা নেতারা ব্লকগুলির উন্নয়নের দিকে সেভাবে নজরই দেয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারাই অভিযোগ তুলেছেন। ব্লকের কামাখ্যাগুড়ির সিংহভাগ এলাকার বাসিন্দারা এখনও পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পরিস্রুত পানীয় জল পান না। কামাখ্যাগুড়ির পুলিস আউট পোস্টটি একটি পূর্ণাঙ্গ থানাতে উন্নীত করার দাবি বহুদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ে আসছেন। কামাখ্যাগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মান উন্নত নয়। এছাড়াও ৩১ সি জাতীয় সড়ক থেকে কামাখ্যাগুড়িতে ঢোকা এবং বের হবার জন্য থাকা দুটি রেলগেটের মধ্যে একটিতে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা কামাখ্যাগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে। গেট দুটি দিনের সিংহভাগ সময় বন্ধ থাকার জন্য বাসিন্দাদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন। কুমারগ্রামকে মহকুমা ঘোষণা করে কামাখ্যাগুড়িকে পুরসভাতে উন্নিত করার দাবিও জেলা ভাগ হবার পর থেকেই বাসিন্দারা জানিয়ে আসছেন। আমরা বাসিন্দাদের এসব দাবি তুলে ধরেই প্রচার করছি। আলিপুরদুয়ার আসনে আমাদের বিজেপি প্রার্থী জিতলে সমস্ত দাবি পূরণের চেষ্টা করা হবে।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকি বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গোটা রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় এই আলিপুরদুয়ার জেলার উন্নয়ন অনেক বেশি হয়েছে। বাম আমলে সবদিক থেকে অবহেলিত এই আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন ব্লকের সমস্ত কিছু ঠিকঠাক করতে একটু তো সময় লাগবেই। কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দাদের সমস্ত দাবি ধাপে ধাপে পূরণ করার ব্যবস্থা করা হবে।