কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, লোকসভা ভোটে আমরা বাইপাসকে ইস্যু করছি। জমি দিয়েও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ মেলেনি। চাষিরা শাসকদলের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা অতীতে কৃষকদের পাশে ছিলাম। এখনও তাঁদের সঙ্গে আছি। আগামী দিনেও তাঁদের পাশে থাকব।
কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি মুজাফ্ফর হোসেন বলেন, বাইপাস তৈরির আগে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা ও প্রশাসন জমিদাতাদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করেনি। জমিদাতারা গীতাঞ্জলি প্রকল্পের ঘর পাননি, সরকারি চাকরিও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জোটেনি। কৃষকরা বঞ্চিত হয়ে আছেন। মানুষ এর জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। ভোটের ফলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা এসব নিয়ে মানুষের কাছে যাব।
বিজেপি’র উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, বাইপাস নিয়ে জমিদাতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি প্রশাসন পূরণ করতে পারেনি। কিছুদিন আগে জমিদাতারা মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে ধর্না বসেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন শাসকদলের নেতাদের নির্দেশে তাঁদের পুলিস দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছিল। আমরা জমিদাতাদের ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে আছি। জমিদাতারা শাসকদল ও প্রশাসনের ওপরে ক্ষুব্ধ। এটা নিয়ে আমরা প্রচারে যাব।
ইসলামপুরের বিধায়ক এবারের রায়গঞ্জ আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বাইপাস কোনও ইস্যুই হতে পারে না। জমিদাতাদের কোনও অভিযোগ থাকলে কিংবা কোনও জমিদাতা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকলে তা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এটাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা কখনই হালে পানি পাবে না। উন্নয়নের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনবে। বিরোধীদের ওসব বুলি কোনও কাজে আসবে না।
জমিদাতাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বাইপাস ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে একজোট হয়েছে। যদিও শাসকদলের দাবি, ওরা এতে সুবিধা করতে পারবে না। ইসলামপুর শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের যানজটে সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন সমস্যায় মুখে পড়তে হয়। সেজন্য ইসলামপুরের অলিগঞ্জ থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিমি বাইপাস করা হচ্ছে। বামেরা প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। গত এক দশকেরও বেশি সময় থেকে জমিজটে কাজ আটকে ছিল। সম্প্রতি কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারপর থেকেই নানা কারণে কৃষকদের সঙ্গে প্রশাসনের সমস্যা হয়।