বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দীর্ঘ দিন থেকেই বিজেপি বলে আসছে এবার রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের দিকে তাদের বিশেষ নজর রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল এখানে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করায় দলের অন্দরে একটা বাড়তি উৎসাহও রয়েছে। দল আগে জানিয়ে ছিল এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকই আবেদন করেছেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কার্যত এবিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, অনেকেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করছেন একথা ঠিক। আমরাও শুনেছি মঙ্গলবার প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে কর্মীদের চাঙ্গা রাখা হচ্ছে। এখানে হতাশ হওয়ার কোনও বিষয় নেই। মানুষ বিজেপির প্রার্থী নিয়ে যে আগ্রহী এটা তারই প্রমাণ ।
রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায়, চায়ের দোকানে, বাজারে, অফিস যেখানেই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে সেখানেই আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে প্রার্থীর নাম ঘোষণা কবে হবে? কে প্রার্থী হতে পারেন। শুধু যে একে অপরের সঙ্গে দেখা হলেই এই প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে তাই নয় অনেকেই ফোন করে অন্য কর্মীর কাছ থেকে এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। দুই বিজেপি কর্মীর দেখা হলেও এই বিষয়েই আগে কথা হচ্ছে। এমনকী পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হলেও বিজেপি কর্মীরা জিজ্ঞাসা করছেন, ‘দাদা, কোনও খবর আছে না কি?’
রায়গঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়েও বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মী সমর্থকরা এসে প্রার্থীর প্রসঙ্গে খোঁজ নিচ্ছে। এই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিজেপি নেতৃত্বকে অনেক সময়ে বিব্রতও হতে হচ্ছে। জেলা নেতৃত্বকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কর্মীদের একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এই জেলায় মোটের উপর ভালো ফল করেছিল। জেলায় একটি জেলা পরিষদ আসন, ৫৬টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন ও ৩৮৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তারা জয়ী হয়েছে। এতে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছিল। কিন্তু দাড়িভিট আন্দোলনকে ঘিরে দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি শংকর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, নানা আইনি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বেশ কিছু দিন প্রকাশ্যে এসে দলের কাজ করতে পারছিলেন না। সেই সময়ে দলের অন্দরে নেতৃত্বহীনতা দেখা দিয়েছিল। নির্বাচনের মুখে বিজেপি সমস্যায় পড়ে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নির্মল দামকে ফের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয়। তিনি দায়িত্বভার সামলে উঠতে না উঠতেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যায়। আগে থেকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়ে দলে আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় দলের অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। কর্মীরা দেওয়াল দখল করেও প্রার্থীর নাম লিখতে পারছেন না। সকলের মুখেই একই জিজ্ঞাসা, প্রার্থী কে?