কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন কর্মিসভায় তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন পর্যবেক্ষক। অমরবাবু ঝরঝরে বাংলাতেই বক্তব্য রেখে রীতিমতো চমকে দেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বাংলার জামাই বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার দায়িত্ব হল তা পালন করা। এই প্রথম দু’টি বড় দল একসঙ্গে মিলে আমাকে প্রার্থী করেছে। বিজেপি পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পাহাড়ে শান্তি এনেছেন। আমরা জানি পাহাড়ে অশান্তি হলে তার প্রভাব শিলিগুড়িতেও পড়ে। তাই আমরা চাই না অশান্তি। উন্নয়ন দিয়ে পাহাড় ও সমতলকে একসূত্রে মমতা দিদি বাঁধতে চান। সেটাই করতে চাই।
এদিন সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকে’ও একহাত নেন অরূপবাবু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বড় মিথ্যেবাদী বলে কটাক্ষ করেন অরূপবাবু। তিনি বলেন, মোদি বড় মিথ্যেবাদী। ভোটারদের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে যিনি আমাদের চৌকিদার হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনি মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ও মানুষকে ঠকিয়েছেন। বছরে ২ কোটি করে চাকুরি, ১৫ লক্ষ টাকা করে অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেবেন বলেছিলেন। কারও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে? চাকরি দূরের কথা ১০ কোটি বেকার হয়েছে। এইসব মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন। দার্জিলিংয়ে বিদায়ী সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, জনজাতিকে যিনি অপমান করেন, যাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবুও আমরা চাই সুরিন্দর সিং আলুওয়ালাই আবার প্রার্থী হোন। তাঁর যদি আমরা জমানত জব্দ করতে না পারি তাহলে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক নই। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলায় একটি আসনও নয়, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ, ২০১৯ এ বিজেপি’ হবে ফিনিশ। এদিন স্টেডিয়ামে কর্মীনেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। বুথ, ব্লক, মহকুমা, জেলা সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মীদের উদ্দেশে অরূপবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য ৪৮ টি জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। সেই প্রকল্পগুলির কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। উন্নয়নের প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিন। একবার নয় অন্তত দু’তিনবার প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোট চাইতে যেতেই হবে। এদিন কর্মিসভায় দলের জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বার বার দার্জিলিং জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য আত্মসমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, লোকসভা, বিধানসভা, শিলিগুড়ি পুরসভা, মহকুমা পরিষদ কোথাও আমরা জিততে পারছি না। কেন বার বার আমাদের হারতে হচ্ছে? কেন আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারছি না? আমি ক্যাপ্টেন হিসাবে এই দায় এড়াতে পারি না। তিনি বলেন আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। বুকে পরাজয়ের গ্লানি প্রত্যকদিন আমাকে আঘাত করে। কলকাতায় গেলেই মাথা নিচু হয়ে যায়। শুনতে হয় হারের নেতা এসেছে। ভাষণ দেয় আর ভাষণ শোনে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনওদিন নির্বাচনে হারিনি। এই পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আর রাজনীতি ভালো লাগে না। তাই এবারের নির্বাচনে আমাদের জিততেই হবে। এরজন্য কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন বড় নেতা হওয়ার দরকার নেই। নিজের মহল্লায়, বুথে নিজের এলাকায় নেতাগিরি করুন। প্রতিটি বুথকে পাখির চোখ করুন। এরপর এবার ভোটের কত মার্জিন পেরে হবে তারও বেঁধে দেন। গৌতমবাবু বলেন, এবার আমাদের ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জিতবে হবে।