গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাসে ১৮ হাজার টাকা হওয়া দরকার। এখন শ্রমিকরা ১৭৩ টাকা দৈনিক মজুরি পাচ্ছেন। চা শিল্পের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। শ্রমিকদের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে রাজ্য সরকারও মালিকদের স্বার্থকেই ঘুরিয়ে সুরক্ষিত করেছে। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ার বিষয়টি এবার আমরা নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরছি। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, পাশের বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি আমাদের রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। বন্ধ চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকার খুলতে চাইলেও রাজ্যের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বাগান এলাকায় অব্যবহৃত জমি শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া সহ, শ্রমিকদের চিকিৎসা পানীয় জল সহ বিভিন্ন দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতায় এলে বাগানের শ্রমিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা এনিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।
জলপাইগুড়ি আসনের তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানগুলি অধিগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকদের মজুরি অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি দু’টাকা কেজি দরে চাল, বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গড়ে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগে বাগান এলাকাগুলিতে পানীয় জলের হাহাকার হতো, কয়েক বছরে চা বাগানগুলিতে পানীয় জলের বহু প্রকল্প গড়ে তুলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হয়েছে। আমরা এসব নিয়ে প্রচার করছি। আশা করি লোকসভা ভোটে বাগানের শ্রমিকরা ভোটবাক্সে এর প্রতিফলন ঘটাবেন।