কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলাকালীন মালদহের দু’টি লোকসভা আসনই কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিল সিপিএম। কারণ এই দুটি আসনেই ২০১৪ সালে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। মালদহ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও রাজ্যের অন্য কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় কংগ্রেস–সিপিএম জোট শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গিয়েছে। এতেই চটেছেন সিপিএমের নিচুতলার কর্মী থেকে দীর্ঘদিনের পার্টি দরদীরা।
অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় পুরনো এই সিপিএম সমর্থকরা বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে বিঁধেছেন রাজ্য নেতৃত্বকে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সিপিএমের জেলা কমিটির এক দাপুটে নেতাও। সিপিএমের নেতা-কর্মীদের একাংশ বলেন, দোষ আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের। তাঁদের জেদাজেদির জন্যই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হল না। আগে থেকে ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেই তিক্ততার পরিবেশ তৈরি করেছে রাজ্য নেতৃত্ব।
অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সিপিএম প্রভাবিত নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক সদস্য নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাবি করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার ফায়দা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। জেলা কমিটির সদস্য এক দুঁদে সিপিএম নেতার আক্ষেপ, দল ছাড়তে পারব না। তাই নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত গিলতে হচ্ছে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব ভাবছেন, ব্রিগেডে ভিড় হয়েছে মানেই দল একা লড়ে অভূতপূর্ব ভালো ফল করবে লোকসভায়। বাস্তবের সঙ্গে এই ভাবনার কোনও যোগ নেই।
তিনি বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার নাম করে অনর্থক অনেক সময় নষ্ট করল দল। জোটের প্রার্থীর হয়ে লড়া এক বিষয়, আর নিজেদের প্রার্থীর হয়ে প্রচার আরেক বিষয়। এখন হাতে না আছে যথেষ্ট অর্থ, না আছে আগেকার শক্তিশালী সংগঠন। নিচুতলার কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে আমাদেরই।
তবে জেলা সিপিএম সম্পাদকের অবশ্য দাবি, যখন আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন কেউ কেউ বললেন নিচুতলার কর্মীরা এই সমঝোতা মানবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখন একা লড়ার সিদ্ধান্তে বলা হচ্ছে কর্মীরা অসন্তুষ্ট। আসলে কোথাও কোনও ক্ষোভ নেই। সবটাই অপপ্রচার। আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত আছেন। আমরা যে কোনও পরিস্থির মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা রাখি।
অন্যদিকে ঈশা খান চৌধুরি বলেন, সিপিএমের সঙ্গে জোট হলে ভালো হতো নিশ্চয়ই। কিন্তু না হওয়াতে কোনও আক্ষেপ নেই। সিপিএমের অনেক প্রাজ্ঞ লোক মনে করেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দল এখনও কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠেনি। এমতাবস্থায় যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে তাদেরই সমর্থন দেওয়া উচিত ছিল। তাছাড়া সিপিএমের মধ্যেও গনিভক্ত রয়েছে।