কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, বিরোধীদের এখনও মাঠে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না। আশা করছি বিরোধী প্রার্থী, নেতা কর্মীদের শীঘ্রই দেখা যাবে। যদি মাঠে ময়দানে, বাড়ি বাড়ি বিরোধীদের দেখা যায় তবে আমাদের কর্মীরা করলার রস নিয়ে আপ্যায়ন করার জন্য অপেক্ষা করবেন। করলার ফলনও এবার ভালো হয়েছে। আমরা যারা মাঠে ময়দানে প্রচারে ঘুরব আমাদের সঙ্গে ফ্লাক্সে করলার রস আর কাগজের ছোট কাপ থাকবে। সামনা সামনি, কাছাকাছি দেখা হলেই করলার জুসটা বিরোধী প্রার্থীদের, কর্মীদের বিশেষত বিজেপিকে আমরা খাওয়াব। আমাদের যত কর্মীর বাড়ি রয়েছে, মহিলা কর্মীরা রয়েছেন তাঁদেরকেও বলা রয়েছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ বিরোধীরা ভোটের জন্য আপনাদের বাড়িতে গেলে আগাম করলার রস করে রাখবেন। তাদেরকে এক কাপ করে করলার রস দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, রবীন্দ্রনাথবাবু নিজেও সম্ভবত রোজ করলার রস খান। করলার রস খাওয়া খুব ভালো। সেকারণে তিনি যাকে তাকে করলার রস খাওয়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু করলার রস খুব তিতা। বাড়িতে কেউ অতিথি এলে আচমকা করলার রস খাওয়ালে ব্যাপারটি ভালো হবে না। এতে অতিথি সেবা হয় না। আমাদের কর্মীদের বাড়িতেও ওরা আসবেন। গরমকাল আসছে। আমরা সকলকে ডাবের জল খাওয়াব।
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই আজ সর্বজনবিদিত। এবার রবীন্দ্রনাথবাবু বিরোধীদের করলার রস খাওয়ানোর যে পরামর্শ দিয়েছেন তাতে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। এমনকী করলার রসের অন্তনির্হিত তাৎপর্য নিয়েও বিভিন্ন মহলে জোর চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দাওয়াইয়ের মর্ম এখনও ভুলতে পারেনি বিজেপি শিবির। সেক্ষেত্রে এবার খোদ ররিবাবুর মুখে করলার রস খাওয়ানোর কথা শুনে বিজেপি শিবিরও কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে। তবে তৃণমূলের একাংশের মতে নির্বাচনের মুখে কীভাবে কর্মীদের চাঙা করতে হয়, কীভাবে বিরোধী শিবিরের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে হয় তার সবটাই দলের জেলা সভাপতির নখদর্পনে রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের মুখে তিনি করলার রস খাইয়ে আপ্যায়ন করার কথা বলে জেলায় ভোটযুদ্ধকে আরও জমিয়ে তুলেছেন।