পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের সভায় কানাইয়ার পাশাপাশি গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জাকির হোসেন, ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল সরকার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কর্মীদের উদ্দেশে কানাইয়া এদিন বলেন, বুথ কমিটির সদস্যরাই আসলে ভোট করান। প্রত্যেক বুথে নির্বাচন কমিটি গঠন করুন। যত জনকে পারেন বুথ কমিটির সদস্য নিন। বুথ এলাকায় ১০০টি বাড়ি থাকলে ৮০টি বাড়ি থেকে বুথ কমিটির সদস্য করতে হবে। তাহলেই ভোট হবে। আমাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না। দিদি আপনাদের উপরে ভরসা করে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জন্য ইসলামপুর থেকে আমাকে প্রার্থী করেছেন। সব থেকে বেশি ভোট ইসলামপুর বিধানসভা থেকে দিতে হবে। এখান থেকে ৫০ হাজার ভোটে আমাকে লিড পেতে হবে। এই দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকে আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোঁজ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে এসেছেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বোর্ড গঠনের সময় বিরোধী দলের সদস্য ও পরাজিত সব সদস্য এক হয়ে গিয়েছেন। এবার তাহলে সমস্ত ভোট ঘাস ফুলে কেন আসবে না? এর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। সমস্ত অঞ্চলে আমরা আছি। কোথাও বিরোধী নেই। যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মন দিয়ে ভোট করবেন। এত উন্নয়ন হয়েছে মানুষ কেন ভোট দেবে না? কেউ ইচ্ছা করে বদমায়েশি করলে ফল ভালো হবে না। যারা ভেতরে থেকে বেইমানি করার চেষ্টা করছেন তাদের আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, সাবধান হয়ে যান। আপনি যা করবেন ভোটের পরে কিন্তু সুদে আসলে ফেরত নেব।
কানাইয়া বলেন, পাঁচ বছর কাজের সময় কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আগলে বার মোদি সরকার আর থাকবে না। নেত্রী বলে দিয়েছেন এবার ৪২ এ ৪২। আমাদের নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য তৃণমূলে বেশি করে ভোট দিতে হবে। সবদিক থেকেই এনির্বাচন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করা, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের জায়গা আরও শক্তিশালী করা, আমাদের নেত্রীর দেশের নেত্রী হয়ে ওঠা সবটাই এই নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে। তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দল এই রাজ্যে নেই। বিজেপি ভারতীয় জুমলা (কথাসর্বস্ব) পার্টি হয়ে গিয়েছে। সেলিম সাহেব ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞাসা করুন এই এলাকার জন্য তিনি কী কাজ করেছেন। ৩৪ বছরে সরকারে থেকে এলাকার জন্য একটিও প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেনি। এখন কী করবেন? বিজেপি ভেবেছিল দাড়িভিটে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে পারলে ওদের ভোট বাড়বে। এখানে কেউ কোনও দাঙ্গ লাগাতে পারবে না। আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। থাকব। আমাদের মধ্যে কেউ ভেদাভেদ তৈরি করতে পারবে না।
মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, মোদি সরকার আমার-আপনার নন, নীরব মোদির সরকার। নোটবন্দি থেকে জিএসটি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে এই সরকার। মানুষের ছিঁটেফোটা উন্নয়ন হয়নি। আর আমাদের তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে চারিদিকে শুধু উন্নয়ন। আমি দলবদল করার পর কানাইয়াদাকে বলেছিলাম, বর্ডার পেরিয়ে চলে আসুন। কনাইয়াদা দলে আসার পর এখন ইসলামপুরে ১০০ কোটি টাকার বেশি কাজ হচ্ছে।