গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এবার লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী আরএসপি’র মিলি তিরকি (ওরাঁও)। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রয়াত জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকারকে সিপিএম সমর্থন করেছিল। কিন্তু শরিক আরএসপি সমর্থন করেনি। আরএসপি নির্মল দাসকে তাদের প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছিল।
যার ফল হয়েছিল কংগ্রেস-সিপিএম জোট, আরএসপি ও বিজেপি তিন প্রতিপক্ষের ভোট ভাগাভাগির জেরে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে যান তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তী। শহরের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের দাবি, আরএসপি’র এই বিশ্বাসঘাতকতা তারা এখনও ভুলে যাননি।
প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশ পেয়ে জেলা কংগ্রেস ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে মোহনলাল বসুমাতা, চন্দন বড়া, রতন বরাইক ও সিনু মুণ্ডার নাম পাঠিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে আছেন মোহনলালবাবু। আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সব কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় দলের কর্মী-সমর্থকরা সত্যিই খুব খুশি। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসাবে চার জনের নাম পাঠানো হয়েছে। তবে প্রার্থী কে হবে দলের হাইকমান্ডই তা ঠিক করবে। বামেদের ভোট দিতে হচ্ছে না বলে ভালো লাগছে।
সোমবার শহরে কংগ্রেসের দলীয় জেলা কার্যালয়ে ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে কংগ্রেসের বৈঠক হয়। বৈঠকে দলের ব্লক সভাপতিরা ছাড়াও বুথ স্তরের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শুরুর আগে কংগ্রেসের টাউন ব্লকের নেতা শ্যামল রায় বলেন, আমরা নিজেদের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারব। মহিলা কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোটে জয় পরাজয় আছে। কিন্তু নিজের দল ও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব এর থেকে আনন্দ আর হয় না। বামেদের ভোট দিতে হচ্ছে না। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, কংগ্রেস ও বামপন্থীদের ভোট ভাগাভাগির সুবিধা আমরা পাব। মানুষ জানে কংগ্রেস বা বামপন্থীরা কেউই জিততে পারবে না। ফলে ওই দুই দলের সমর্থকরা ভোট নষ্ট করতে চাইবেন না। তৃণমূলকে হারাতে তারা বিজেপি’কেই ভোট দেবেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, আমাদের শ্লোগান বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। তৃণমূল হটাও বাংলা বাঁচাও। মানুষ সেই লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে বামপন্থীদের সমঝোতা না হওয়ার ঘটনায় বিজেপি’র কোনও ফায়দা হবে না। আরএসপি’র জেল সম্পাদক সুনীল বণিক বলেন, বিরোধীরা কে কী বলল তাতে বামফ্রন্টের কিছু যায় আসে না। তৃণমূল ও বিজেপি’র প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। সেজন্য মানুষ ফের বামফ্রন্টের প্রতিই আস্থা দেখাচ্ছে।