পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক গৌতম দেব বলেন, আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী বালুরঘাট লোকসভা আসনে আমরা জয়লাভ করব। আগে কী হয়েছে তা ভুলে সকলকে একসঙ্গে চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২ এ ৪২এর স্বপ্নপূরণ করতে সকলকে একসঙ্গে ময়দানে নামতে নির্দেশ দিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রও বলেন, এই আসন তৃণমূলের রয়েছে, তৃণমূলেরই থাকবে। প্রার্থী নিয়ে একটি ক্ষোভ হয়েছিল। এখনও দলের কর্মীদের মধ্যে তা আছে। তবে নেত্রীর নির্দেশে এখন থেকে অর্পিতা ঘোষকে জেতাতে জোরদার প্রচার শুরু হবে। নেত্রীর সেই বার্তা বুথ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ব্লকের নেতাদের দিয়েছি। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিপ্লবদার উপর ভরসা আছে। তিনি যেভাবে আমাকে ২০১৪ সালে জয়ী করেছেন। এবারেও একই ভাবে সাহায্য করবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক গৌতম দেব দলের কোন্দল মেটাতে রবিবার জেলার কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন। এদিন তিনি দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে গৌতমবাবুকে জেলার নেতারা একাধিক অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ শুনে গৌতমবাবু জানিয়ে দেন, এখন অভিযোগ করার সময় নয়। অভিযোগ শোনারও সময় নেই। দ্রুত সকলকে নির্বাচনের প্রচারের নামতে হবে। অন্য দিকে জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র সকলকে নির্দেশ দেন সকলে এক সঙ্গে চলে অর্পিতা ঘোষকে জেতাতে হবে। প্রার্থী নিয়ে যদি কোনও কর্মীর ক্ষোভ থেকে থাকে তা ভুলে দ্রুত নির্বাচনের প্রচারে নামতে হবে। বিপ্লববাবুর এদিনের এই বার্তায় অর্পিতা কিছুটা হলেও স্বস্তি পান। বেশকিছু দিন ধরে বিপ্লববাবু প্রকাশ্যে অর্পিতা দেবীকে প্রার্থী করা নিয়ে যেভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন প্রার্থী।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গৌতমবাবু স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন এই নির্বাচন দল তথা নেত্রীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আত্মঘাতী কোনও কাজ করা যাবে না। যেভাবেই হোক এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে জয়ী করতে হবে। মতবিরোধ ভুলে সকলকে একসঙ্গে চলতে হবে। বিপ্লববাবুকে প্রচারের রণকৌশল তৈরি করে দ্রুত ময়দানে নামার পরামর্শ দেন গৌতমবাবু। এদিনের দলীয় আলোচনাতে উঠে আসে গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় দলের বিপর্যয়ের কথাও। এবার সেই একই কাণ্ড ঘটলে তার মাশুল সকলকেই দিতে হবে। এদিন এলাকা ধরে ধরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।