বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ছাত্রীরা হলেন সায়নী ধর, দীপিকা দত্ত, চাঁদনি মহাজন, পর্ণা দে, রাখি সাহা, জয়তী পাল, পূর্বা দে, রিয়া বিশ্বাস, অপর্ণা বর্ধন ও রিম্পা দেবনাথ। জখমদের প্রত্যেকেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ, অশোকনগর, হাবড়া এলাকায়।
জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্ঘটনার পরেই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গিয়েছে। অবশ্য ট্রাকটির নম্বর পাওয়া গিয়েছে। ট্রাকটির সন্ধানে আশপাশের থানাগুলিকেও বলা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ মার্চ ওই বিএড কলেজের পড়ুয়াদের দলটি শিক্ষামূলক ভ্রমণে জলদাপাড়া এসেছিল। সেখানে ৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকাও ছিলেন। বাকিরা সবাই ওই কলেজের পড়ুয়া। শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসা দলটিকে দু’টি ভাগে মাদারিহাটের স্থানীয় দু’টি বেসরকারি লজে ছিল ।
ওই বেসরকারি বিএড কলেজের এক শিক্ষক শংকর মালাকার বলেন, শুক্রবারই ছিল শিক্ষামূলক ভ্রমণের শেষ দিন। এদিন সকালে জঙ্গলে কার সাফারি করে বিকালের ট্রেনে আমাদের কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষামূলক ভ্রমণে এসে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে যে এমন দুর্ঘটনায় পড়তে হবে তা ভাবতে পারছি না। জখম এক ছাত্রী চাঁদনি মহাজন হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, আমরা কলেজ থেকে শিক্ষামূলক ভ্রমণে জলদাপাড়া গিয়েছিলাম। হোটেলে ফেরার জন্য সকাল ৭টা নাগাদ মাদারিহাটের থানার সামনে আমরা কয়েকজন জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় হঠাৎই একটি জিপসিকে ট্রাকটি ধাক্কা দেয়। জিপসি’র ধাক্কায় আমরা রাস্তার পাশে পড়ে যাই। আচমকা ধাক্কায় চারদিকে তখন অন্ধকার দেখছিলাম।
পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসা ওই পড়ুয়ার দলটি এদিন ১০টি কমার্শিয়াল জিপসি নিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে সাফারিতে বেরিয়েছিল। সকাল ৭টা নাগাদ ছয় জন পড়ুয়া বোঝাই প্রথম জিপসি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাদারিহাট থানা সংলগ্ন যুব আবাস মোড়ে জাতীয় সড়কে উঠছিল। পিছনে ছিল বাকি জিপসিগুলি। প্রথম জিপসিটি জাতীয় সড়কে উঠতেই হাসিমারার দিক থেকে আসা ট্রাকটি ওই জিপসিতে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। জিপসিটির সামনের দিক একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে চালক চন্দন সরকার ও ছয় পড়ুয়া জখম হন।