বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে সেবিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি বুথে অর্ধেক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়। এই অর্ধেক সেকশনে কমপক্ষে চারজন জওয়ান থাকেন। স্পর্শকাতর বুথ হলে বা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থাকলে সেখানে পুরো একটি সেকশন বা আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও মোতায়েন করা হতে পারে।
মালদহে ২৮৮৮টি বুথে রয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাঁদের দাবি, মালদহে অন্তত কয়েক’শ বুথ স্পর্শকাতর। এই দাবি বিবেচনা করে প্রশাসন পরবর্তী পর্যায়ে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বাড়ালে সেগুলিতে আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে পুলিস প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তত ২৭০টি সেক্টর অফিস থাকবে মালদহে। থাকবে মোবাইল টিমও। এই দু’টি ক্ষেত্রেই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের প্রয়োজন হবে। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ১০০জন জওয়ান থাকে। বুথ, সেক্টর এবং রেডিও মোবাইল টিমের জন্য জেলায় প্রায় ১৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন।
তবে পুলিস কর্তারা এখনও নিশ্চিত নন, যে সংখ্যায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন তার পুরোটাই পাওয়া যাবে কি না। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, নির্ধারিত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়া গেলে জওয়ানদের যথাযথভাবেই ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে যদি ১৭০ কোম্পানি বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের কাজে পাওয়া যায় তাহলে তাঁদের কোথায় রাখা হবে তা নিয়েও পরিকল্পনা শুরু করেছেন জেলা পুলিস কর্তারা।
মালদহে নির্বাচনের কাজে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীই (বিএসএফ) বেশি সংখ্যায় ব্যবহার করা হতে পারে। তবে পরে নিয়ে আসা হতে পারে সিআরপিএফ এবং সিআইএসএফ জওয়ানদেরও। ২৮ মার্চের পর থেকে ধীরে ধীরে জেলায় এসে পৌঁছাবেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ হলে বাকি জওয়ানরা এসে পৌঁছবেন।