কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করিমুল সাহেব বলেন, বাম সরকার থেকেও এগিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকার। এই সরকারের আমলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। দিদি আমাদের অনেক দিয়েছে, আমরা দিদির পাশে আছি। এছাড়াও অনান্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে। এক মন্দির কমিটি মন্দির নির্মাণের কাজ না করে আমার ছেলের ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসার টাকা দিয়েছে। এমন রাজ্য আর কোথায় আছে। এটা রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার ফলে হয়েছে।
করিমুল সাহেব মাল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ধলাবাড়িতে বাস করেন। এক সময় এই গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবা তো দূর অস্ত রোগী নিয়ে যাওয়ার একটি গাড়ি পর্যন্ত ছিল না। নিজের অসুস্থ মাকেও তিনি সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। তাই এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় তাঁর মা মারা যান। এভাবে মাকে হারানো করিমুল সাহেব কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি। সেসময় তিনি সুবর্ণপুর প্রজেক্ট চা বাগানে ম্যানেজারের কাজ করতেন। মাইনের টাকা বাঁচিয়ে তিনি একটি বাইক কিনে সেটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে ফেলেন। তাঁর মায়ের মতো আর কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেজন্য করিমুল সাহেব অসুস্থদের বিনামুল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন। সেই থেকেই তিনি সমাজ সেবামূলক এই কাজ করে যাচ্ছেন। এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে। এদিকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের এক আত্মীয়কে দাঁড় করিয়ে জিতিয়েছেন করিমুল সাহেব। তিনি পাশে থাকায় তৃণমলের প্রার্থী বাড়তি প্রচার পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।