কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে জেলায় ৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেও বাম প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেনি। বিজেপি অধিকাংশ আসনে পরাজিত হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারাই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ৬৯৬০৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৯৪৭৭৩ ভোট। সিপিএম প্রার্থী মহেন্দ্র কুমার রায় পান ৪২৫১৬৭ ভোট। বিজেপি প্রার্থী সত্যলাল সরকার ২২১৫৯৩ ভোট পেয়েছিলেন। গত লোকসভা ভোটের পর বামেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাই এবারে বাম ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপি সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যের দাবি, কিছু মানুষ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন। অনেকেই বিরোধী শিবিরে চলে গেলেও তারা আবার দলে ফিরেছেন। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারলে বামেরা এবারে ভালো ফল করবে। বামেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অল্পবয়সী সকলের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী করা হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, জলপাইগুড়িতে এবারে লোকসভা ভোটে বামেদের ভোট কতটা নিজেদের পালে আনতে পারবে তার উপরই বিজেপি’র ফলাফল নির্ভর করছে।
বিজেপি’র দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের যে পরিবেশ পরিস্থিতি শাসকদল তৈরি করেছিল অতীতে জলপাইগুড়ির মানুষ তা দেখেননি। তাই এবারে তারই জবাব ব্যালটে দিতে তৈরি হয়েছেন আমজনতা। বিজেপি নেতারা এও দাবি করেছেন, অনেক সঙ্গে পুরনো তৃণমূলী যারা দলে মর্যাদাটুকু পাচ্ছেন না তারাও এবারে বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। বিজেপি’র জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে যারা ভালো মানুষ আছেন, তাদের অনেকেই আমাদের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। পাশাপাশি বাম, কংগ্রেসের অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে কর্মী সমর্থকরাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদ থেকে অধিকাংশ পঞ্চায়েত উপহার দিয়েছেন। এবারে লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী রেকর্ড ভোট পাবেন।
বিজেপি জলপাইগুড়িতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছুটা অক্সিজেন পেলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্ত ভিত এখনও গড়ে তুলতে পারেনি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ধূপগুড়ির শালবাড়িতে পুলিসের উপর হামলার অভিযোগে অনেক জেলা নেতা কার্যত রাজনৈতিকভাবে অন্তরালেই চলে গিয়েছিলেন। ফলে সাংগঠনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ব্যাহত হয়েছে। জেলা নেতৃত্বদের পাশে না পেয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ময়নাগুড়িতে সভা করার পর ফের বিজেপি শিবির খানিকটা চাঙা হয়েছে। সম্প্রতি রাজগঞ্জের সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, জলপাইগুড়ি জেলায় একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। বাম প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিদের একাংশ বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছেন।