রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গ্রামবাসীরা জানান, সদ্য দুই মাস আগে মালদহের বাসিন্দা ওই শিক্ষক কাজে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় আদিবাসীরা ওই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তির-ধনুক নিয়ে স্কুল ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রীদের বিনা কারণে মারধর করেন। শুক্রবার তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পরিবেশ বিদ্যার ক্লাস নিতে যান। প্রথম বেঞ্চ থেকে পড়া ধরা শুরু করেন তিনি। ছাত্রীরা উত্তর দিতে না পারলেও তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎই তিনি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে থাকা ঝাঁটা দিয়ে ছাত্রীদের পেটাতে শুরু করেন। সোনালী সরকার নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রীদের মধ্যে। প্রথম বেঞ্চের পাঁচজন ছাত্রীকেই তিনি মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঝাঁটা পেটা করেন। এরপর তিনি ক্লাস থেকে বেরিয়ে যান। অন্য শিক্ষকদের ঘটনাটি নজরে আসতেই অসুস্থ ছাত্রীকে স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এলাকায় খবর ছড়াতেই ক্ষোভ জমে বাসিন্দাদের মধ্যে। শনিবার স্কুল খুলতেই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভের জেরে বিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিবেশ শান্ত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, শুক্রবার আমি বিদ্যালয়ের কিছু কাজে ডিআই অফিসে গিয়েছিলাম। খবর পেলাম বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে ঝাঁটা নিয়ে মারধর করেছেন বলে শুনেছি। একজন কেটু গুরুতর জখম হয়েছিল। আমি তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছি। কেন এমন ভাবে ছাত্রীদের মারা হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছি। আহত ছাত্রীর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। আগামীতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সমস্ত শিক্ষককে সতর্ক থাকতে বলেছি। জখম এক ছাত্রীর বাবা সুদেব সরকার বলেন, পড়ুয়ারা পড়া না পারলে অবশ্যই শিক্ষক শাস্তি দেবেন। তবে নির্মমভাবে মারধর করা উচিত হয়নি। আগামীতে যাতে অন্য কারও সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত স্কুলের। বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বড় কিছু ঘটেনি। অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে।