কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজগঞ্জে শিল্পোদ্যোগীর উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের মাঝিয়ালি অঞ্চল নেতা সাবুল মহম্মদ ও পাঁচ দলীয় সমর্থককে বুধবার পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কারখানায় গিয়ে মালিককে মারধর করেছে বলে সাবুল মহম্মদ গ্রেপ্তার হয়েছে। কেউ অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না। পুলিস অপরাধী মনে করে গ্রেপ্তার করেছে। দলীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে। দলবিরোধী কার্যকলাপে কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সাবুল মহম্মদের অনুগামীরা আদালত চত্বরে বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলতে গিয়ে নেতা যদি গ্রেপ্তার হন, দলের নেতারা তাঁর পাশে না দাঁড়ায় তবে সে দল করে কি হবে? সৌরভবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ চাইছেন। এটা যদি কেউ না বোঝে তার পাশে কখনই দল থাকবে না।
বুধবার কারখানার মালিক সতীশ আগরওয়ালের উপর হামলার জেরে রাজগঞ্জের করতোয়ায় ওই কারখানা চত্বরে র্যা ফ সহ পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বৃহস্পতিবারও সেখানে পুলিসের নজরদারি ছিল। কিন্তু বুধবার গোলমালের পর কারখানার শ্রমিকরা ভয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার কারখানার দরজা খোলা থাকলেও শ্রমিকদের কেউ এদিন কাজে যোগ দেননি। এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা ও আতঙ্ক রয়েছে। শিল্পোদ্যোগীদের সংগঠন নর্থবেঙ্গল ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, বহিরাগতরা দলবল নিয়ে কারখানায় ঢুকে এক শিল্পোদ্যোগীকে লাঠিপেটা করে প্রাণে মারার চেষ্টা করল। এরপরেও পুলিস অভিযুক্তদের জামিনযোগ্য ধারা দেওয়ায় আমরা অবাক হয়েছি।