বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিনহাটার নয় নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা তথা উপভোক্তা বলেন, সবার জন্য গৃহ প্রকল্পে আমরা ঘর পেয়েছি। তারজন্য আমরা পুরসভাকে ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি। যারা ঘর পেয়েছেন তাঁরা সবাই অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন। টাকা না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না, পুরসভা থেকে এ কথা বলার পর আমরা বাড়তি টাকা দিয়েছি। আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ঘরের জন্য ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এই প্রকল্পে একজন উপভোক্তার ঘর তৈরির জন্য তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা সরকার বরাদ্দ করেছে। উপভোক্তাদের কাছ থেকে পুরসভা ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। রসিদে ডেভেলপমেন্ট ফি বলে লেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দু’হাজার উপভোক্তার কাছ থেকে এভাবে উন্নয়ন ফি বাবদ চার কোটি টাকার মতো তুলেছে পুরসভা। কিন্তু সবার জন্য গৃহ প্রকল্পে নিয়মানুযায়ী উপভোক্তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকার বেশি পুরসভা নিতে পারে না। কিন্তু উপভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা নিয়ম বিরুদ্ধভাবে নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি পুরসভা স্বীকার করলেও আলোচনা ভিত্তিতে তা নেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি। সেই টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। ঘর তৈরির প্রথম দফায় এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা দিয়ে ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন উপভোক্তা। প্রথম দফার কাজ শেষে এক লক্ষ টাকা তার পরে আরও এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। মোট চার দফায় সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া হয় উপভোক্তাদের। ঘর তৈরির সময় যে জমিতে ঘর তৈরি করা হবে সেই জমির ছবি তোলা হয়। ঘরের কাজ শুরু হলে আবার ছবি পাঠাতে হয়। জিও ট্যাগিং থাকায় অন্য জায়গার ছবি তুলে বা অন্যের ঘর নিজের ঘর বলে দাবি করে ছবি তুলেও পাঠানো সম্ভব নয়।