কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগামী মাসে এমসিআই টিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরির্দশনে আসতে পারে। সেদিকে নজর রেখে মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের একটি অংশে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য বিরাট ভবন তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ওই জায়গায় দু’টি হস্টেল ও নার্সিং কোয়ার্টার তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালের ভেতরে দোতলায় লাইব্রেরি করার কাজ হচ্ছে। একতলায় দু’টি বড় লেকচার থিয়েটার গড়ে তোলার কাজ চলছে। রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটির দশতলা ভবনে একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি গড়ে তোলার কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আইব্যাঙ্কের জায়গায় নতুন বর্হিবিভাগ কাউন্টার এবং শেড গড়ে তোলা হচ্ছে। জেলা হাসপাতালের পুরনো বর্হিবিভাগটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সেই জায়গাটিকেও আগামী দিনে মেডিক্যাল কলেজের কোনও কাজে লাগানো হবে।
গত কয়েক মাসে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের জন্য কিছু চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখানে এখন চিকিৎসকের সংখ্যা ১০০র বেশি। এঁদের মধ্যে প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, আরএমও এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপির বসার চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। এদিকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, বায়ো কেমেস্ট্রি, ফার্মাকোলজি সহ আরও নানা বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে। তারসঙ্গে প্রয়োজন অনুসারে ল্যাবরেটরিগুলিও গড়ে তোলা হচ্ছে। লেকচার থিয়েটারগুলিতে বসার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। এমসিআই’র অনুমোদনের পরেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্স চালু করা সম্ভব হবে। সেকারণে এমসিআই’র পক্ষ থেকে আগে একবার এখানে পরির্দশন করা হয়েছিল।
এর আগেরবার এমসিআই’র প্রতিনধিরা এসে এখানকার স্বাস্থ্য আধিকারিকেদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তাঁরা কিছু কিছু বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। সেসমস্ত বিষয়ের ওপরে জোর দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার এমসিআই’র প্রতিনিধিরা এসে সবদিক খতিয়ে যাতে সন্তুষ্ট হতে পারেন সেলক্ষ্যেই এখন দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে।