বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অভিযোগ, বাউলের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শম্ভু দাসের ছেলের রঞ্জিত দাস জানুয়ারির ২ তারিখে ৩০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের জমা দেন। টাকা জমা দিলেও পাশ বই আপডেট করার জন্য ব্যাঙ্কে রাখে কর্তৃপক্ষ। ১৫ জানুয়ারি পাশবই প্রিন্ট করে দিলে দেখা যায় ওই দিন ২০ হাজার টাকা জমা দেখানো হয়েছে। ৩০ হাজার টাকা জমা দিলেও কেন ২০ হাজার জমা দেখানো হচ্ছে সেনিয়ে একাধিকবার তিনি ব্যাঙ্কে গেলেও কেউ কোনও সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে রঞ্জিতবাবু সহ এদিন গ্রামের লোকজন এসে ব্যাঙ্কের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
গৌড় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রিজিওনাল ম্যানেজার আশিস পাল বলেন, বিক্ষোভের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করা হবে। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে সেই দিন ব্যাঙ্কে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জমা হয়েছিল। সেই টাকা অভিযোগকারী গ্রাহকের কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখব।
রঞ্জিত দাস বলেন, বাবার অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা জমা করেছিলাম। আমি ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি তার রসিদ দেওয়া হয়। কিন্তু পাশ বুক প্রিন্ট করে দেখা যায় ওই দিন অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা জমা পড়েছে। সমস্যার সমাধান চেয়ে একাধিকবার ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাউন্টারে গেলেও কোনও কাজ না হওয়ায় এদিন বিক্ষোভ দেখাই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করব।
ব্যাঙ্কের ওই শাখার কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য পরিষেবা মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। টাকা জমা দেওয়ার দীর্ঘদিন পরে পাশবই প্রিন্ট করে দেওয়া হয়। কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যাঙ্কে নেই।