কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুণ্যার্থীরা বলেন, মাঘীপূর্ণিমার দিন ডকনদীতে স্নান করে পুজো দিলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। তাই তাঁরা স্নান করে মানত করেছেন। মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য জয়েন্ত সিংহ বলেন, ১৩৩ বছর থেকে এই তিথিতে ডকনদীতে ভক্তরা স্নান করতে আসছেন। স্নান উপলক্ষে নদীর ধারে মেলা বসে। আগে এই মেলা এক মাস ধরে চলত। এখন এতদিন ধরে মেলা চলে না। তিনদিন এখন আমরা মেলার আয়োজন করি। অন্ধকার থাকতেই বহু মানুষ এদিন মন্দির চত্বরে আসেন। সূর্যোদয় থেকেই ভক্তরা ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে নদীর জলে স্নান করতে নামেন। তাঁরা স্নান সেরে মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন। শুধু স্নান করতেই নয়, অনেকে শুধুমাত্র মেলাতে ঘুরতে এসেছেন। মেলায় নাগরদোলনা আনা হয়েছে। আমাদের মেলার বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি করা হয়। সচারাচর বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না এমন মাছও এই মেলায় পাওয়া যায়।
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের আজাহার উদ্দিন বলেন, এটি চোপড়ার ঐতিহ্যবাহী মেলা বলে পরিচিত। প্রতিবছরই কয়েক হাজার লোক মেলায় আসেন। আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মেলায় আসাদের পানীয় জল খাইয়েছি। ব্লক থেকে তিনজন আধিকারিক মেলায় আছেন।
শতবর্ষ প্রচীন এই মেলায় হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। চোপড়ার এই মেলা কার্যত মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মেলায় চিতল, রুই, কাতলা, পোনা, সরপুঁটি, বাটা, ভেটকি, পাবদা, ফলি, মাগুর সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে।