বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই অধ্যক্ষের অনিয়মিত কলেজে আসা এবং অন্যান্য অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সেখানে আন্দোলনরত ছাত্ররা প্রতিষ্ঠানের গেটে ও অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তার আগে গত ২ জানুয়ারিতেও শিক্ষকদের বদলি ও অধ্যক্ষের অনিয়মিত উপস্থিতির অভিযোগ তুলে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই সময়েও ছাত্ররা গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই অধ্যক্ষ এদিন বিনা নোটিসে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক রজতকান্তি বিশ্বাস বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের সমস্যা নিয়ে আগে একবার আলোচনা হয়েছিল। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। এদিনের ঘটনার বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাংশ ছাত্রের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিজে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসেন না। ঠিক মতো ক্লাস হয় না। স্টোর রুম বন্ধ থাকে। কোনও ব্যাপারে অধ্যক্ষের প্রয়োজন হলে তাঁকে পাওয়া যায় না। এখানে কোনও ক্যান্টিন নেই, কমন রুম নেই। হস্টেলের পরিকাঠামো ঠিক নেই। পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এসব নিয়ে আন্দোলন চলছেই।
ছাত্ররা এদিন বেলা করে প্রতিষ্ঠানে এসে দেখতে পান প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা ঝোলানো। এনিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। ১১টার আগে যারা কলেজে ঢুকেছিলেন তাঁরাও বেরিয়ে আসেন। অভিযোগ ১১টার পর অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হলেও ছাত্রদের দেওয়া হয়নি। এরপর সারা দিন তারা প্রতিষ্ঠানের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাঝে জেলাশাসকের দপ্তরে তাঁরা বিহিত চাইতে চান। তাঁদের দাবি, ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন। আন্দোলনের জেরে এদিন পঠনপাঠন আর হয়নি।
এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০০ ছাত্র রয়েছেন। ফিডার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, কার্পেন্টার, ওয়েল্ডার, সার্ভেয়ার সহ প্রায় ১৪টি ট্রেড এখানে চালু আছে। দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার ছাত্ররা পরিকাঠামোগত সমস্যা, সঠিক পঠন-পাঠনের অভাব, অধ্যক্ষের অনিয়মিত হাজিরা প্রভৃতি বিষয়ে অভিযোগ তুলছেন। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ হেয়ালিপনা বন্ধ করে সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করুক।