বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ আলগির রেজা চৌধুরী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমরা অ্যানুয়াল অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি। ওই পরিকল্পনায় গোয়ালঘর তৈরি, কেঁচো সার করার মতো বিষয়গুলি রেখেছি। এতে গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এছাড়াও আমরা রাস্তাঘাট, পানীয় সরবরাহ সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিও অগ্রাধিকারে রেখেছি। অ্যানুয়াল অ্যাকশন প্ল্যান ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে জেলায় পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত বরাদ্দ আসবে। বরাদ্দ এলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ আমরা শুরু করে দেব।
গ্রামগঞ্জের প্রায় বাড়িতে গৃহপালিত পশু পালা হয়। বাড়িতে গোরু, ছাগল থাকলেও বাসিন্দারা সেসব খোলা আকাশের নিচেই রাখেন। এছাড়াও ছোট ঘর বানিয়ে গ্রামবাসীরা হাঁস, মুরগি পালন করেন। কিন্তু এভাবে রাখায় শীত ও বর্ষাকালে ওসব পশুপাখি সমস্যায় পড়ে। তাই গবাদিপশু, পাখির আশ্রয়স্থল করে দিতে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। এমনটা করে দেওয়া গেলে গ্রামবাসীরা পদ্ধতি মেনে পশুপালন করতে পারবেন। অ্যানুয়াল অ্যাকশন প্ল্যানে প্রায় ৭০০ বাড়িতে গোয়ালঘর বানানো কথা বলা হয়েছে। রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সব গ্রামেই বাসিন্দারা গোরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি প্রতিপালন করেন। গ্রামীণ অর্থনৈতিক বিকাশে গবাদিপশু পালন অনেকটাই ভূমিকা নিয়ে থাকে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক মজবুতিকরণের লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ দাবি অনুসারে বাড়ি বাড়ি গোয়ালঘর করে দেবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বাড়িতেই মাটি খুঁড়ে গোবরের মাধ্যমে কেঁচো সার বানানোর জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে। এজন্য ৭টি কেঁচো সার প্রকল্পের প্রস্তাব ওই অ্যানুয়াল অ্যাকশন প্ল্যানে গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও বেশকিছু অসমাপ্ত রাস্তা সহ গ্রামের ভেতরের অপেক্ষাকৃত ছোট কিন্তু গুরত্বপূর্ণ রাস্তা ঢালাই করা হবে। কিছু মাটির রাস্তা সংস্কার করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫টি রাস্তা ওই প্রকল্পে ধরা হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কয়েকটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।