পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিগত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূরজাহান বেগম জেলা পরিষদের কেনা নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করতেন। এরজন্য পরিষদকে বাড়তি ভাড়া গুণতে হত না। এছাড়া বিগত বোর্ডের সহকারী সভাধিপতি একটি সাধারণ ভাড়া গাড়ি ব্যবহার করতেন। সেজন্য জেলা পরিষদকে মাসে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হত। এখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির জন্য নতুন নামি কোম্পানির যে দুটি গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে, সেগুলির প্রত্যেকটির জন্য মাসে প্রায় ২৮ হাজার টাকা করে ভাড়া গুণতে হবে। মেন্টরের গাড়ির ক্ষেত্রে একই পরিমাণ ভাড়া হতে পারে। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিদের যাতায়াতের জন্য বাড়তি জ্বালানি খরচ তো রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনের বিলাসবহুল গাড়ির পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি নন এমন একজন জেলা পরিষদের উন্নয়ন নিয়ে প্রচারকের জন্যও গাড়ি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকমাস হল জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করেছে। সেভাবে পরিষদের উন্নয়নের কাজ বাসিন্দারা কিছু দেখতে পাননি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। জেলা পরিষদের এক কর্মী জানিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েক হল গাড়িগুলি এসেছে। শোরুম থেকে নতুন গাড়িগুলিতে এখনও তাই নম্বর প্লেটও বসেনি। যদিও জেলা পরিষদের আধিকারিকরা এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সংবাদমাধ্যমে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ১৯ আসনের। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবকটি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে যায়। অভিযোগ, বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদে এক প্রভাবশালী সদস্যই মূলত সবকিছুতে কলকাঠি নাড়ছেন। তাঁর ইচ্ছেতেই আধিকারিকরা সেরা নতুন নতুন গাড়ি ভাড়া নিতে বাধ্য হয়েছেন।