পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন মৌসম বেনজির নুর বলেন, মালদহের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরতে হবে। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই আমরা বিজেপিকে রুখে দেব। গনিখান চৌধুরী যে স্বপ্ন নিয়ে মালদহের উন্নয়ন করেছিলেন সেই একই স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। মালদহে দুটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বিজেপির মতো অশুভ শক্তি যে স্বপ্ন দেখছে তা আমরা ভেঙে চুরমার করে দিতে পারি, ধ্বংস করে দিতে পারি। সেটাই অমাদের লক্ষ্য। এজন্য আমাদেরকে একটাই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার।
কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দলের ব্লকভিত্তিক কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মালদহে গনি পরিবারের এই তারকা সদস্যের পরিচয় বাড়াতে জায়গায় জায়গায় সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সংবর্ধনা সভাগুলিতে মৌসমকে কাছে পেয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। এদিনও তার প্রতিফলনও মিলেছে পুরাতন মালদহের জলঙ্গার সংবর্ধনা সভায়। এদিন কর্মী-সমর্থকদের সংবর্ধনা পেয়ে মৌসম বলেন, আমি কৃতজ্ঞ যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রাজ্যের মধ্যে প্রথম আমার নাম ঘোষণা করেছেন। এটি আমার কাছে বিরাট সম্মান। এ সম্মান আমরা যাতে রাখতে পারি তার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ বরকত সাহেবকে ভালোবাসতেন। বরকত সাহেব সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে চলেছেন। বরকত সাহেব যতদিন ছিলেন কংগ্রেস মজবুত ছিল। আস্তে আস্তে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বুঝতে পারছেন এখন মালদহকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে হবে। আমি তৃণমূলে আসার পর প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তা থেকেই বুঝতে পারছি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমাদের সকলকে জেলার স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে রুখে দিতে হবে। বিজেপি মালদহ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতে তা চুরমার করে দেব। এদিন সংবর্ধনা সভা মঞ্চের শহিদ বেদিতে কাশ্মীরে নিহত সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন সংসদ সদস্য।
এদিনের সভায় সংসদ সদস্য ছাড়াও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার, মালদহ জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ সরলা মুর্মু, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার সহ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।