পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, পুলিস লাঠি নিয়ে তাঁদের দিকে তেড়ে আসে। এমনকী পুলিস নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। নকল সরবরাহকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিসের তাঁদের ওপরেই চড়াও হয়। পুলিসের লাঠির ঘায়ে কয়েকজন অভিভাবক জখম হন। এঁদের মধ্যে একজন বৃদ্ধাও রয়েছেন।
মানিকচক থানার পুলিসের বক্তব্য, লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি। যারা নকল সরবরাহ করছিল তাদের পুলিস সরাতে যায়। তারা পাল্টা আক্রমণ করলে খানিকটা ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে লাঠি উঁচিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। নকল সরবরাহকারীরা পুলিসকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে। এতে চারজন পুলিস কর্মী জখম হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, কোনওরকম সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েনি। মালদহ থেকেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনও সারবত্তা নেই। প্রশাসনের আধিকারিকরা এদিনও বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। কোথাও বড় কোনও অভিযোগ আসেনি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যেই এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মালদহ থেকেই যে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি নিজে এদিন কালিয়াচক-৩ ব্লকের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। কোথাও প্রশ্ন ফাঁস তো দূরের কথা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়নি। মানিকচকে নকল সরবরাহকরীদের পুলিস রুখে দিয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কালিন্দী হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন বহিরাগত নকল সরবরাহ করার চেষ্টা করে। তারা একে একে পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে জড়ো হলে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা হটিয়ে দিতে যায়। এতেই নকল সরবরাহকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিসের সঙ্গে তাদের ধস্তধস্তি শুরু হয়। অন্যদিকে মাধ্যমিকের প্রথম দু’দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা শুরুর পরে হোয়াটসঅ্যাপে ইতিহাস প্রশ্নের প্রতিলিপি পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু ওই অভিযোগ অসত্য এবং ভিত্তিহীন বলে প্রশাসন উড়িয়ে দিয়েছে।