গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি অবশ্য বলেন, সমস্ত ভর্তি নিয়ম মেনেই হয়েছে। সংরক্ষণের যাবতীয় নিয়ম মান্যতা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে যাবতীয় নথি যেখানে যেখানে দেখানোর প্রয়োজন হবে তা দেখানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে অকারণেই বিতর্কের মধ্যে রাখার জন্য কোনও কোনও মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তরে ভর্তির দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের কাছে যাওয়ার আগে তা অধ্যাপক গিরির কাছেই ছিল।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারা নিয়ে এবারে দফায় দফায় বিতর্ক হয়েছে। দীর্ঘদিন গোটা বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে। তার আগে অর্ধেকেরও বেশি আসন খালি থাকা সত্ত্বেও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ বলে ঘোষণা যেমন করা হয়নি তেমনি ভর্তিও করানো হয়নি। এই অবহেলার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ঘোষিত সময়ে শিক্ষাবর্ষই শুরু করতে পারেনি। সাধারণত নতুন সিবিসিএস পদ্ধতিতে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম সেমেস্টারের সময় ঘোষিত থাকে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিই শেষ করেছে প্রথম সেমেস্টারের সময়েরও দু’মাস পরে। এনিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার গোটা ভর্তি প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণের নিয়ম না মানার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিহাস, অংক, শিক্ষাবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, রসায়ন, সংস্কৃত ও ফিলোজফির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে ওই সংরক্ষণ পদ্ধতি অবহেলিত হয়েছে। সংরক্ষণের খুবই সাধারণ শর্ত হচ্ছে, তফসিলি জাতি বা উপজাতির কোনও শিক্ষার্থী যদি সাধারণ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পায় তবে তাঁকে সেখানেই আগে সুযোগ দিতে হবে। একাধিক ক্ষেত্রে এধরনের শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় তফসিলি জাতি, উপজাতি’র জন্যে নির্ধারিত শ্রেণীতে ভর্তি করিয়েছে বলে অভিযোগ। এতে প্রতিক্ষেত্রেই সেই নির্দিষ্ট শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারিয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, এক ছাত্র সাধারণ মেধা তালিকার হিসাবে পাঁচ নম্বরে ছিলেন। তফসিলি জাতির ওই ছাত্রকে পাঁচ নম্বর সিরিয়ালেই জেনারেল হিসাবে ভর্তি করানোর কথা। কিন্তু তাঁকে তফসিলি জাতি শ্রেণীতে এক নম্বরে ভর্তি করা হয়েছে। এর জেরে সাধারণ মেধা তালিকায় ২৩ নম্বরে থাকা আর একজন তফসিলি শিক্ষার্থী’র নিশ্চিত ও আইনানুগ ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। অভিযোগকারীরা এধরনের প্রায় ২০টি উদাহরণ সহ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজই সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কের আবহ তৈরি করেছে। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংকটে পড়ে যাবে।