গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
দলের জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। দলের জোনাল সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক বলেন, গোটা বিষয়টি আমাদের সংসদীয় কমিটি চূড়ান্ত করবে। জেলা থেকে এব্যাপারে রিপোর্ট উপরমহলে পাঠানো হবে।
দলের একাংশের মতে সম্প্রতি দলের জেলা কার্যালয়ে জেলা কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে জেলা কমিটির দু’তিনজন সদস্য অভিযোগ করেছিলেন লোকসভা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে দু’তিনজনের নাম নিয়ে বাজারে চর্চা হচ্ছে। এতে দলের নিচু তলায় ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতির বিষয়টি পরিস্কার করা দরকার। কিন্তু জেলা সভাপতি সেই বৈঠকে প্রার্থী পদের প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা তথা তিনবিঘা আন্দোলনের একজন নেতা ইতিমধ্যেই প্রার্থী হতে চেয়ে দলের জেলা দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে পঞ্চানন বর্মার উত্তরসূরী অথবা পঞ্চানন বর্মার স্মৃতিরক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কোনও নেতাকে প্রার্থী করার ব্যাপারেও দলীয়স্তরে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। দলের জেলা কমিটির অন্তত তিনজন নেতা ইতিমধ্যেই প্রার্থী হওয়ার জন্য বায়োডাটা তৈরি করে ফেলেছেন। প্রার্থীর চর্চায় তৃণমূলের একজন প্রাক্তন বিধায়কের নামও রয়েছে। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মনকে যাতে এবার প্রার্থী করা না হয় সেব্যাপারে দলের একটি লবি তৎপর হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রার্থীপদে যোগ্য লোককে খুঁজে পেতে গেরুয়া শিবিরের কার্যত কালঘাম ছুটছে। দলের নিচুতলার কর্মীদের মতে জেলা পার্টি প্রার্থী পদ নিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে রয়েছে। এখনও তাঁরা দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের দাবি, যোগ্য লোককে প্রার্থী করা না হলে এবার ভোটের আগে দলে আরও ধস নামবে। যা সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।