গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের উদয়ন গুহ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে পুরসভার ওয়ার্ড ধরে ধরে কর্মিসভা শুরু করেছি। দলীয় কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বলেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দি ও জিএসটিতে সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথাও প্রচার করতে বলেছি। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, ৩০ জন ভোটার প্রতি একজন দলীয় কর্মী নিয়োগ করে জোরকদমে ভোটের প্রচার চলছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নাম বদলে রাজ্য সরকার নিজের নামে চালানোর বিরুদ্ধে জোর প্রচার চালানো হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই আমরা বড় সভা করব। ফব দলের যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক আবদুর রউফ বলেন, শনিবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিনহাটা মহকুমার দলীয় নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। বর্তমানে বুথ স্তরে সাংগঠনিক কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী বিষয়ে আলোচনা চলছে। কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। এই রাজ্যে কংগ্রেস এককভাবে লড়বে না জোট করে লড়বে এখনও তা পরিষ্কার নয়। প্রার্থী ঘোষণা হলেই আমরা প্রচারে নামব।
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিন থেকেই দিনহাটা শহরে ওয়ার্ড ধরে ধরে সভা শুরু করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তারা ২ নম্বর ওয়ার্ডে, শুক্রবার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং শনিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সভা করবে। ওয়ার্ড ধরে ধরে লোকসভা উপ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। বিধায়ক বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে সভা করছে শাসক দল। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সমস্ত ওয়ার্ড ও গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভা শেষ করা হবে। প্রতিদিনই সভা করা হচ্ছে।
ভোটের প্রচারে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তারা ৩০ জন ভোটার প্রতি একজন কর্মী নিয়োগ করেছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির প্রচারে জোর দিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নাম পরিবর্তন করে নিজেদের নামে চালানোর অভিযোগ তুলে জোর প্রচার চালাচ্ছে তারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ১৫ মার্চের পর তারা মাইক ব্যবহার করে বড় সভা করবে।
এদিকে, অঞ্চল স্তরে দলীয় কর্মীদের সংগঠিত করছে ফরওয়ার্ড ব্লক। শনিবার দিনহাটায় রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে নির্বাচনী কৌশল স্থির করা হবে। তার আগে গ্রামে গ্রামে সাংগঠনিক স্তরে তারা আলোচনা চালাচ্ছে। তবে জোট না একলা লড়বে দল সেনিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে এখনও নির্বাচনী পরিকল্পনা ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।