গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
যোগাযোগের জন্য নাগরাকাটা সহ ধূপগুড়ি ব্লকের বহু গ্রামের মানুষের এই সেতুই একমাত্র ভরসা। এলাকার কৃষক সহ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বার বার বলার পরেও প্রশাসন সেতু তৈরির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারাই চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে নিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করছেন। ফলে মাঝেমধ্যেই সাইকেল, কখনও মোটরবাইক পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই নদীর উপর দ্রুত পাকা সেতু তৈরির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা চান এব্যাপারে প্রশাসন জরুরি পদক্ষেপ করুক। ব্লক প্রশাসন এই দাবি দ্রুত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এলাকার এক কৃষক দীনবন্ধু রায় বলেন, দু’বছর ধরে এই সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। আমার মতো কৃষকদের খেতের শাকসব্জি নিয়ে হাটে যেতে হয়। কিন্তু এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে গাড়ি যায় না। তাই অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সময়ও বেশি লাগছে।
এলাকার বাসিন্দা বিকাশ রায় বলেন, যারা এই ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল অথবা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেন তাঁরা একরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন। এভাবে এই সেতুর উপর দিয়ে যেতে গিয়ে মাঝমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত এই সেতু তৈরির উদ্যোগ নিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান করুক। নাগরাকাটার বিডিও স্মিতা সুব্বা বলেন, ওই নদীর উপর সেতু তৈরির ব্যাপারে কথা চলছে।
উল্লেখ্য, চ্যারেঙ্গা নদীর একপাড়ে রয়েছে নাগরাকাটা ব্লকের দক্ষিণ ধন্দাসিমলা, পূর্বপাড়া, কার্জিপাড়া, নুনখাওয়াডাঙ্গা, ধূপগুড়ি ব্লকের চানাডিপা, শালবাড়ি, কাইলাস্কুল। অন্যপাড়ে রয়েছে নাথুয়া হাট, ধুমপাড়া বাজার, ধুমপাড়া হাইস্কুল, শিকারিপাড়া, খাসপাড়া সহ বহু গ্রাম। দু’পারের বাসিন্দাদের এই সেতুর উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সেতু ভেঙে যাওয়ায় গত দু’বছর ধরে তাঁদের অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।