গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নথি বলছে, ২০০৮ সালে আরএমসি’র তরফে চুক্তি পত্র তৈরি করে টিএস ১ নম্বর স্টলের মালিকানা দেওয়া হয় গণেশ সিংকে। সেক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২৫ বছর। তবে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর আচমকাই ওই স্টলের মালিকানা বদল হয়ে যায়। ৭৫০ বর্গফুটের ওই স্টলের দায়িত্ব পান কুমার প্রসাদ ওরফে বোম ভোলা। তাঁর বক্তব্য, আমি সমস্ত নিয়ম মেনে ওই স্টলের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে। নিয়ম মেনে ৫০ হাজার টাকাও জমা করেছি চুক্তির সময়। সেক্ষেত্রে চুক্তিপত্রও রয়েছে। তাতে সরকারি আধিকারিকদের সই সহ সিলমোহর রয়েছে। তবে সে সব কতটা আসল তা নিয়ে তিনি সংশয়ে পড়েছেন। কুমারবাবু বলেন, আমি পূর্ববর্তী স্টল মালিক গণেশ প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তবে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। গণেশবাবু সব নথি আমাকে এনে দিয়েছিলেন। তবে আমি আশাবাদী ওই নথি আসলই হবে। এদিকে সামগ্রিক ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য গণেশ সিং মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না।
অন্যদিকে, ৪১ দিন আগেই স্টলের মালিকানা বদল হলেও এখনও টিএস ৬১ স্টলের মালিকানা দাবি করছেন পূর্ববর্তী স্টল মালিক গণেশ সিং। যদিও ১ অক্টোবর ২০১৮ সালের চুক্তিপত্রে স্টলের মালিকানায় নাম রয়েছে বৈজনাথ যাদবের। তবে বৈজনাথ যাদবের দাবি, তিনি এবিষয়ে কোন কিছুই জানেন না। তার কাছে কোন চুক্তিপত্র নেই। অন্যদিকে, স্টলের পূর্ববর্তী মালিক গণেশবাবুর দাবি, তাঁর নামেই বকেয়া ভাড়ার নোটিস আসছে আজও। সেক্ষেত্রে ওই স্টল তাঁর। তবে এবিষয়ে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
প্রসঙ্গত ২০০৮ সাল থেকে টিএস ৬১ স্টলের মালিকানা ছিল গণেশ সিংয়ের নামে। এরপর ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ওই স্টলের মালিকানা বদল হয়ে যায় ওই চুক্তি পত্র অনুসারে টিএস ৬১ এর বর্তমান দাবিদার বৈজনাথ যাদব। যদিও বৈজনাথ নয়া চুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও আবেদন করেননি বলেই জানান তিনি। একইসঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অর্থই জমা করেননি তিনি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওই চুক্তিপত্র তৈরি হল কীভাবে? তাহলে কী অসাধু চক্রের মদতে রাতারাতি স্টলের হস্তান্তরিত হয়েছে একযোগে? সেক্ষেত্রে কি আর্থিক লেনদেনের মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে চক্রের সদস্যরা?
অন্যদিকে, ওই মার্কেটে স্টল হস্তান্তরের দূর্নীতির খবর প্রকাশ পেতেই শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইমে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন খোদ জেলাশাসক। এরপর তদন্তের দায়িত্বভার নেয় গোয়েন্দা দপ্তর। শুরু হয়েছে তদন্ত।