গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
ধূপগুড়ি পুরসভা ২০১৪ সালে প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর কাজ শুরু করে। তবে সেই জল বেশকিছু বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুরসভার কাছে অভিযোগ আসে। পুরসভার তরফ থেকে স্বচ্ছ পানীয় জল বাড়িবাড়ি পৌঁছনোর জন্য ৪০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয় এবং আয়রন এলিমিনেশন প্ল্যান্ট বসান হয়। বর্তমানে পুরসভার তরফে শহরের ১২ হাজার বাড়িতে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে এবং কোনও বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার আগে পাইপের মাথায় একটি মিটার বক্স বসান হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি মিটার বক্সের জন্য ২০০০-২৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এগুলি চুরি যাওয়ায় পুর কর্তৃপক্ষকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরের বেশকিছু জায়গা থেকে এই মিটার বক্সগুলি উধাও হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তার ধারে ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভিতর থেকে পিতলের সরঞ্জাম সহ নাট গায়েব হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই মিটার বাক্সে পিতলের যা সরঞ্জাম রয়েছে তা অনায়াসে ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হবে। সেই লোভেই হয়ত এই ঘটনা ঘটছে। এদিকে এই মিটার বক্স না থাকায় জল অপচয় হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, জলের মিটার বক্স চুরি বা ভিতরের সরঞ্জাম গায়েব হয়ে যাওয়ার বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে কথা বলেছি। কারা রাতের অন্ধকারে এই কাজ করছে তা ধরতে আমরা তৎপর হয়েছি। দুষ্কৃতীদের রেয়াত করা হবে না। অবিলম্বে পুলিসকে এনিয়ে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ধূপগুড়ি থানার এক অফিসার আব্দুল আহমেদ বলেন, এমন ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। আমাদের তদন্ত চলছে। আমরা রাতে টহল দিচ্ছি। চারদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।