কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকগুলিতে থান তৈরি করা হবে। যাতে আদিবাসীদের ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান করতে অসুবিধা না হয় সেকারণেই এই অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে বামনগোলা, হবিবপুর, পুরাতন মালদহে থান তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মদক্ষ তথা আদিবাসী সমাজের নেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের সরলা মুর্মু বলেন, থানে আদিবাসী সমাজের ধর্মীয় আবেগ জড়িত রয়েছে। এটি সাধারণত মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। সামাজিক নানা উৎসব ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেখানে করা হয়। রাজ্য সরকার আদিবাসী সমাজের কথা ভেবে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আদিবাসীদের অনুষ্ঠানগুলি ভালোভাবে করা যাবে। পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি বলেন, ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ২৮টি এ ধরনের থান তৈরি করা হবে। জেলায় আদিবাসীদের ধর্মীয় ও সাংস্কূতিক অনুষ্ঠান করার মতো পরিকাঠামো বলতে কিছু নেই। সাধারণত মাটি উঁচু করে বেদির আকারে এটি তৈরি করা হয়। সেখানে কোনও মূর্তি থাকে না। আদিবাসীরা বিভিন্ন সময় সোহরাই, বাহা পার্বণ সেখানে করে থাকে। এছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানেও এই মাজার বা থান ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও আদিবাসী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত স্থানীয় সমাজের মোড়লরা এই মাজার বা থানের আশেপাশে জমায়েত হয়েই নিয়ে থাকেন। থানগুলি কংক্রিটের করা হবে। সেখানে উৎসব, অনুষ্ঠান হলে তা বসে দেখার জন্য জায়গা করা হচ্ছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে ৮৩৬টি মাজার বা থান তৈরি করা হবে। তার মধ্যে পুরাতন মালদহ ব্লকে ২৮টি, গাজোলে ৩৭১টি, বামোনগোলায় ১৫২টি, হবিবপুরে ২৬৩টি, ইংলিশবাজারে পাঁচটি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে ১৭টি মাজার বা থান তৈরি করা হবে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৭ হাজার ৭৩৫ টাকা। প্রকল্পে মোট ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৬০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।