গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পাঁচ বছর তিনি সেভাবে কাজ করতে পারেননি তা নিজেই স্বীকার করছেন সংসদ সদস্য। তবে এর জন্য পুরোপুরি দায়ী করেছেন রাজ্য সরকারকে। কাজ করতে না পারার জন্য সরাসরি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে ছাড়েননি তিনি। সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যের টাকা জেলাশাসক আটকে রেখেছেন। তিন বছর ধরে আমি যেসব প্রকল্প দিয়েছিলাম সেগুলির প্রক্রিয়ায় শুরু করা হয়নি। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সেগুলি আটকে দেওয়া হয়েছে। সামান্য কিছু টাকার কাজ করা হয়েছে। নকশালবাড়িতে কানু সান্যালের গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কিছু করতে পারিনি। প্রশাসন থেকে কোনও সাহায্য করা হল না? মানুষের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছে আমি কোনও কাজ করতে পারিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দার্জিলিংয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করার কথা ছিল। সেটা তো করতে দেওয়া হল না। রাজ্য সরকার কী ভাবে অসহযোগিতা করেছে। পাহাড়ে আমি সশরীরে যাইনি ঠিকই কিন্তু প্রতিনিয়ত আমি যোগাযোগে থেকেছি। পাহাড়ের মানুষের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনের আগে তৃণমূল নানা অপপ্রচার করবে। সময় মতো এর জবাব দেব।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, উনি তো বাইরের লোক। পরিযায়ী পাখি। প্রার্থী হওয়ার সময় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এই পাঁচ বছরে পাহাড়ের মানুষ তো তাঁকে দেখেননি। তাঁর নামে নিরুদ্দেশের পোস্টার পড়ে। এই কেন্দ্রে ১০ বছর বিজেপি রয়েছে। পাঁচ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। সংসদ সদস্য হিসাবে কিছু করেননি। কোনও টাকাই খরচ করতে পারেননি। মন্ত্রী হয়েও দার্জিলিংয়ের জন্য করেনি। উলটে জেলা পিছিয়ে গিয়েছে। শুধু পাহাড় সমতলের বিভাজনের রাজনীতি করেছেন। তাঁর নন পারফরমেন্সের বিষয়টি তো আমরা তুলে ধরব।
গত লোকসভা নির্বাচনে গুরুংবাহিনীর সমর্থনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন, আলুওয়ালিয়া। গুরুংবাহিনী পাহাড় থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর এবার প্রধান কাঁটা বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে সংসদ সদস্যকে পাহাড়ে ঢুকতে দেবে না। বিনয়দের হুঁশিয়ারির পর পাহাড়ে এখনও পা রাখতে পারেননি সংসদ সদস্য। শুধু তাই নয়, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তারপর থেকে পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিই করতে পারেনি দল। এই অবস্থায় কবে কীভাবে পাহাড়ে যাবেন সংসদ সদস্য তা দলীয় নেতৃত্বের কাছেও সুস্পষ্ট বার্তা কিছু নেই। বিনয় তামাং বলেন, তিনি কোনও মুখে এখানে আসবেন? পাহাড়ের বাসিন্দারাই সংসদ সদস্যকে ঢুকতে দেবেন না।