পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন ছিল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষা ইংলিশের পরীক্ষা। এদিনও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়, পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কারা এই কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা না গেলেও জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা বেশকিছু মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। সেগুলি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে। এনিয়ে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে মালদহে হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল এবং জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য এদিন যৌথভাবে মানিকচক ব্লকের একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অরুণ রায় কালিয়াচক-১ ও ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি চালান। রাস্তায় নামেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পালদেন শেরপাও। তিনি এদিন রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন। সদর মহকুমা শাসক পার্থ চক্রবর্তী এবং চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়ও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। বেশ কয়েকজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও ময়দানে নামেন।
প্রথম দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় পড়েই একাংশ অভিভাবক অভিযোগ তোলেন, প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দাবির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও পরীক্ষার্থীরা যে ক্যামেরা মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে ঢুকছে তা এদিন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। জেলার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে স্মার্ট ফোন উদ্ধার হয়েছে।
এদিন বৈষ্ণবনগর গোলাপগঞ্জ, বালুয়াচারা ও হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর হাই স্কুলে একাধিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। কালিয়াচক-২ ব্লকের রথবাড়ি হাই স্কুল থেকেই ২২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। স্কুলগুলির বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জেলা প্রশাসন বা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে প্রশাসনের সব স্তরের আধিকারিকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। ছোটখাট দু’একটি বিষয় নজরে এসেছে। সব ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পরীক্ষার বাকি দিনগুলিতেও একইভাবে নজরদারি চলবে। হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা এদিন নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপস বিশ্বাস বলেন, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে রয়েছেন। অফিসে আগে থেকেই কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে। পরীক্ষা ঠিকঠাকই চলছে।