গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
ওই গুদামের নিরাপত্তারক্ষী মণ্মথ বর্মন বলেন, গভীর রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী মূল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে আসে। তারা আমাকে এবং আরও এক নিরাপত্তারক্ষী দয়াল বর্মনকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। পরে দু’জনকেই তারা হাত, পা, মুখ বেঁধে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। ওরা সংখ্যায় সাত-আটজন ছিল। পরে তারা অ্যালুমিনিয়ামের তার, বিদ্যুতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে একাজ তারা করে। অফিসের একটি কম্পিউটারও নিয়ে গিয়েছে। গুদামের সিসিটিভি নষ্ট করে দিয়েছে। দুষ্কৃতীরা আমাদের দু’জনের মোবাইল ফোন দু’টি নিয়ে গিয়েছে। ওরা চলে যাওয়ারপর আমরা কোনওভাবে বাঁধন খুলে বাইরে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের জানাই।
ওই ঠিকদার সংস্থার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্টোর ইনচার্জ কমল মজুমদার বলেন, জেলার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার যাবতীয় কাজ আমরা করি। জেলার দু’টি মহকুমায় আমাদের এমন গুদাম আছে। সকালে বুনিয়াদপুর থেকে খবর আসে সেখানে রাতে চুরি হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কয়েক লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সামগ্রী চুরি হয়েছে। আমরা হিসেব করছি। সরঞ্জামের সমস্ত রিপোর্ট মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। বংশীহারি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সিসিটিভি নষ্ট করা হয়েছে। একটি কম্পিউটার দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে।
গঙ্গারামপুরের এসডিপিও বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি গুদাম থেকে বিদ্যুতের সামগ্রী চুরির অভিযোগ এসেছে। রাতেই সেখানে পুলিস গিয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ঠিকাদারের গুদামটি বুনিয়াদপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নলপুকুরে রয়েছে। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাটি ঘটে। ওই গুদামের নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী দলটিতে সাত-আটজন ছিল। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল। দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেই চুরি করতে এসেছিল। তারা গাড়ি নিয়ে সেখানে যায়। দড়ি দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের বাঁধে। যাতে চিৎকার চেঁচামেচি না করতে পারে সেজন্য মুখও বেঁধে দেওয়া হয়। এরপরই ওসব সামগ্রী গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে টেন্ডারের পর তারা ওই গুদামে সামগ্রী কিনে এনে রাখে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়েছে। রাতে তাঁরা পাহারা দেন। কিন্তু এমন ঘটনার পর নিরাপত্তারক্ষীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।