কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সিকিম মৌসমের ভবনের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম, দার্জিলিংয়ে ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির হাত ধরে উত্তরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। দিনের তাপমাত্রা একধাপে অনেকটা কমে যাবে। অন্তত পাঁচদিন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের দিক থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বধুবার থেকে পাহাড় সমতলে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করবে। আকাশ মেঘলা হয়ে আসবে। পাহাড়ে বৃষ্টিও শুরু হতে পারে। এই সময় তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আরও জাঁকিয়ে শীত পড়বে। আবহবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সময় দিনের তাপমাত্রা একবারে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সিকিম ও দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এবার দার্জিলিংয়ে প্রবল শীত পড়তে শুরু করে। জানুয়ারির প্রথমেই তুষারপাত হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় কেঁপেছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবহবিদেরা জানান, গত এক দশকের মধ্যে এবার দার্জিলিং ভালো ঠান্ডা পড়েছিল। সন্দাকফু-ফালুটে কয়েক দফায় তুষারপাত হয়েছে। এমনকী টাইগার হিলে এবার রেকর্ড তুষারপাত হয়েছে। দার্জিলিং শহরে তুষারপাতের আশায় পর্যটকেরা ভিড় করেছিলেন। তবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। আকাশ পরিস্কার হয়ে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। এই সময় পাহাড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সমতলে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। জানুয়ারির শেষে এই তাপমাত্রায় মনে হয়েছে শীত বুঝি বিদায় নিচ্ছে। কিন্তু আবহবিদেরা জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত ধরে ফের জাঁকিয়ে আসছে শীত। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। দার্জিলিংয়ে আবার হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নেমে আসেবে। দিনের তাপমাত্রা কমে এলেও এই সময়ে রাতের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে গেলে রাতে তাপমাত্রায় বড়রকমের হেরফের হবে। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পেরিয়ে গেলে দিনের তাপমাত্রা কিছু বাড়লেও প্রচন্ড কুয়াশা হবে। সকালের দিকে কুয়াশার দাপটে আলু চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। সিকিম মৌসম ভবনের অধিকর্তা বলেন, শীতকালীন বৃষ্টি এবার সেভাবে হয়নি বললেই চলে। জানুয়ারিতে যে পরিমাণ শীতকালীন বৃষ্টি হয় সেভাবে এবার সমতল তথা উত্তরবঙ্গের সাত জেলাতেই ছিঁটেফোটা বৃষ্টি হয়নি। পাহাড়ে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এই সময় গড়ে ৭ থেকে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার না আসা পর্যন্ত বৃষ্টি হয় না। শীতকালীন বৃষ্টি না হলে এর প্রভাব ফলস উৎপাদনেও পড়ে।