দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এবিষয়ে মালদহের ডেপুটি পুলিস সুপার ( ট্রাফিক ) শুভতোষ সরকার বলেন, যানবাহন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বড় কোনও সমস্যা কোথাও হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, জেলা ও জেলার বাইরে মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ কর্মী, সমর্থক অমিতজির সভায় এসেছিলেন। প্রায় আট হাজার গাড়ি আমরা সাংগঠনিকভাবে নিয়েছিলাম। এত লোক যাতায়াতে একটু সমস্যা হয়ই। তবে সভায় যাওয়া-আসা নিয়ে যানজট হয়নি। পুলিসের ব্যর্থতাতেই যানজট হয়েছে। হবিবপুর ব্লকের বিজেপি কর্মী সুজয় চন্দ্র রায় বলেন, অমিত শাহের সভায় মানুষের আবেগ ছিল। সেই আবেগে উৎসাহিত হয়ে প্রচুর কর্মী সমর্থক আসায় স্বাভাবিকভাবেই যানজট হয়েছে।
এদিন অমিত শাহের সভা ঘিরে সকাল ৯টার পর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ছোট গাড়ি বাস মোটর বাইকে করে সভাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন মালদহের ইংলিশবাজার শহরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। মালদহের বিভিন্ন রুট থেকে একই সঙ্গে প্রচুর গাড়ি চলে আসায় যান নিয়ন্ত্রণে পুলিস হিমশিম খেয়ে যায়। এদিন একাধিক ট্রাফিক পয়েন্টে পুলিস এবং ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন থাকলেও মানুষের দুর্ভোগ এড়ানো যায়নি। মালদহ-নালাগোলা, মালদহ-গাজোল, চাঁচল-সামসি, গাজোল-মালদহ, অমৃতি-মানিকচক এবং কালিয়াচক-মালদহ রাজ্য সড়কে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গাড়ির জেরে যানজটের পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি চলাচল কম হওয়ায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন।
কালিয়াচকের তিনটি ব্লক এবং মানিকচক ব্লকের বহু কর্মী-সমর্থক ইংলিশবাজার বাইপাস হয়ে নিত্যানন্দপুরের সভাস্থলে যান। অন্যদিকে চাঁচল মহাকুমার ছ’টি ব্লক, গাজোল, বামনগোলার কর্মী-সমর্থকরা পুরাতন মালদহ বাইপাস দিয়ে সভায় ঢোকেন। এদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর বাস, ছোট গাড়ি চলে আসায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়। পুরাতন মালদহের নলডুবি থেকে ইংলিশবাজারের বাঁধাপুকুর পর্যন্ত এদিন সারা দিনই যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ ছিল। পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি রেলগেট চৌরঙ্গী মোড়, বুলবুলি মোড়, ইংলিশবাজারের ৪২০ মোড়, রথবাড়ি সর্বত্রই যানজটে মানুষ হাঁসফাঁস করতে থাকে। এদিন দুই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং থাকাতেও পথচলতি মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।