কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোতোয়ালির দুই এমপি নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা কংগ্রেসে আছেন না কি তৃণমূলে আছেন। যে কোনও সময় ওনারা কলকাতায় ভেসে উঠতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর শরণ নিয়ে বলতে পারেন, হে মাতঃ ক্ষমা কর মোরে। ভুল বুঝিয়া ফিরিয়াছি ঘরে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা বরকত গনিখানকে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা কোতোয়ালির এই দুই এমপিকে একটিও ভোট দেবেন না। কারণ এই এমপিরা কংগ্রেসের হয়ে জিতেও তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে চলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোতোয়ালিকে নিশানা করেন রাহুল সিনহাও। বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূলও এই দুই এমপিকে এবার পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
বিজেপি’র এই আক্রমণের পরে মুখ খুলেছেন মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম নূর। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা এসে কী বললেন তার কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা সবাই পরিযায়ী পাখি। নির্বাচন এগিয়ে আসতেই মালদহে এসেছেন। আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। তাই মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। মৌসমের সংযোজন, যাঁরা সারা দেশে গণতন্ত্র হত্যা করছে তাঁরাই আবার ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশ করছে। এটাই হাস্যকর। তবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ এদিন বিজেপি করেছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি উত্তর মালদহের এই এমপি। তিনি বলেন, বিজেপি’কে রুখতে সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একসঙ্গে আছে।
এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিকর নানা মন্তব্য করেছেন রাজ্যস্তর থেকে জেলা স্তরের একাধিক বিজেপি নেতা। মালদহ জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র এদিন বক্তব্য রাখার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করা শুরু করেন। পরে সেই পথে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন একাধিক রাজ্য নেতা।
মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ন্যূনতম রুচি বা সংস্কৃতি বোধ থাকলে একজন ভদ্রমহিলা সম্পর্কে এই ধরনের আক্রমণ করা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন জননেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিজেপি নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁদের রুচিবোধ কতটা নিম্নমানের।