সংবাদদাতা, বালুরঘাট: মঙ্গলবার কংগ্রেসের আইন আমান্য আন্দোলনকে ঘিরে বালুরঘাটের জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিত তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, এদিন পুলিস তাঁদের কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। এই ঘটনায় ১০ জন কংগ্রেস সমর্থক জখম হন। তাঁরা সকলেই বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কংগ্রেস কর্মীদের ওপর উপর লাঠিচার্জের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবার হুঁশিয়ারি দেন দলের দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নীতির কারণে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বেকারদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। বিভিন্ন দাবিতে এদিন জেলার বিভিন্নপ্রাপ্ত থেকে কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী বালুরঘাটের ডিএম অফিসের সামনে জমায়েত হন। তাঁরা সকলে জেলাশাসকের দপ্তরে যেতে গেলে পুলিস ও কমব্যাট ফোর্স আটকে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীনই পুলিসের লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিসের লাঠির আঘাতে একজন কংগ্রেস কর্মী ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। যদিও পুলিসের দাবি, কিছু কংগ্রেস সমর্থক পুলিসের উপর হামলা করেছিল। পরিস্থিতি সামলাতে সকলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, লাঠিচার্জের কোনও ঘটনা হয়নি। জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে গণ্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাঁরা জমায়েত করেছিলেন তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
অঞ্জনবাবু বলেন, আমাদের কর্মীদের ওপর এদিন পুলিস বিনা কারণে লাঠি চালিয়েছে। এতে আমাদের ১০ জন কর্মী জখম হন। তাঁদের সকলের চিকিৎসা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চলছে। পুলিসের লাঠি চললেও আমাদের আন্দোলন থামবে না।