কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বন দপ্তর ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে পোড়োর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বাইসন তিনটি প্রথমে দক্ষিণ ঘাঘরায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সেখানে দৌড়ে পালাতে গিয়ে বাইসনের গুঁতোয় জখম হন ক্ষিতিশবাবু ও রজনীবাবু। এরপর একটি বাইসন ঢুকে পড়ে দক্ষিণ ঘাঘরার বাসিন্দা বিজয় বর্মনের বাড়িতে। সেসময় বাইসনের গুঁতোয় জখম হন বিজয়বাবুর স্ত্রী মালতীদেবী ও তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিন্টু বর্মন। বিজয়বাবু বলেন, এদিন সকালে ঘর থেকে হঠাৎ প্রতিবেশীদের আর্ত চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। কী হয়েছে দেখার জন্য ঘর থেকে বেরোতেই দেখি বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছে একটি অতিকায় বাইসন। বাইসনের গুঁতোয় সামান্য জখম হলেও অল্পের জন্য স্ত্রী ও ছেলে বেঁচে গিয়েছে। তবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, পাঁচ জন নয়। জখম হয়েছেন দু’জন। তারমধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার সমস্ত খরচই দেবে বন দপ্তর।
দক্ষিণ ঘাঘরা থেকে চলে যাওয়ার আগে একটি বাইসন স্থানীয় বাসিন্দা উপেন বর্মনের একটি গোরুকে গুঁতো দিয়ে মেরে ফেলে। এরপর বাইসন তিনটি চলে যায় পাশের বালাটারি গ্রামে। বাসিন্দারা অনেকেই সেসময় আলুর জমিতে কাজ করছিলেন। গ্রামে বাইসন দেখে বাসিন্দারা ভয়ে দিকশূন্য হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। বালাটারি থেকে বাইসন তিনটি এরপর কালজানি নদীর চর দিয়ে ঢুকে পড়ে পাশের পররপাড় পঞ্চায়েতের বীরপাড়ায়। বীরপাড়ায় একটি বাইসনকে বন কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাগে এনে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। বীরপাড়াতে একটি বাইসন একটি শৌচালয়ের খালি ট্যাঙ্কে পড়ে গেলে সেটিকেও বন কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাগে এনে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয়। বন দপ্তর জানিয়েছে, বাকি একটি বাইসন স্থানীয় কালজানি নদীর ধার ধরে জঙ্গলে চলে যায়।