কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
টিএমওয়াইসি’র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম পাল বলেন, চাকুলিয়া ব্লকের আগের যুব সভাপতি মাস কয়েক আগে মূল সংগঠনে ঢুকেছেন। তাই ওই পদটি এতদিন ফাঁকা পড়ে ছিল। আমরা গত সপ্তাহেই সেখানে আনোয়ার আলমকে সভাপতি পদে বসিয়েছি। কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফারুকজামাল নূরিকে। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে সুরেশ পোদ্দার, মাণিরুল জামালকে সহ সভাপতি এবং সম্পাদক পদে মসরুল আলমকে বাসানো হয়েছে। ডালখোলা টাউন টিএমওয়াইসি’র সভাপতি সম্প্রতি নিজেই দায়িত্ব ছেড়েছেন। আমরা খুব শীঘ্রই ওই জায়গায় যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দেব।
ডালখোলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মর্শেদ আলম বলেন, আমি পদ ছাড়িনি। বিহারে আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। তারপর থেকে আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই মামলাটি মিটে গিয়েছে। সংগঠনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আনোয়ার আলম বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি। সংগঠনকে মজবুত করার জন্য যোগ্যদের নিয়ে কাজ করা হবে।
জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসে সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা পুরসভা নির্বাচন এবছরই হবে। অনেক দিন থেকেই ডালখোলায় সংগঠনের সভাপতির পদটি শূন্য রয়েছে। তাই সংগঠনের কর্মসূচি হচ্ছে না। মুর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় জেলা নেতৃত্ব তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সেসময় থেকে ওই পদটি ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু ওই পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেই যোগ্য ব্যক্তিকেই খোঁজা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্ব একজনকে খুঁজছে। যুব সভাপতি হওয়ার জন্য অনেকেই সংগঠনের উপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু নেতৃত্ব এখনই কারও নাম প্রকাশ্যে আনছে না। কে ওই পদে আসবেন তা নিয়ে শহরে জোর জল্পনা চলছে। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শেদকে বসিয়ে দেওয়া হলেও তিনি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, তাঁকেই আবার ফিরিয়ে আনা হতে পারে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বচনে চাকুলিয়াতে তৃণমূল ভালো ফল করেছে। কিন্তু বিজেপি’র শক্তিও সেখানে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বিধানসভা আসনটি দীর্ঘদিন থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে আছে। তৃণমূল বহু চেষ্টা করেও ওই আসনটি নিজেদের দখলে আনতে পারছে না। তাই চাকুলিয়াতে লড়াইটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসকদলের সমস্ত শাখা সংগঠনকে ব্লক থেকে বুথ পর্যন্ত মজবুত করার কাজ চলছে। এমন অবস্থায় ব্লক সভাপতিকে পদ থেকে সরানো নিয়ে জল্পনা চলছে। এর পেছনে গোষ্ঠী কোন্দলের গন্ধও কেউ কেউ খুঁজে পাচ্ছেন। চাকুলিয়াতে তৃণমূল তাদের যুব শাখায় নতুন মুখ নিয়ে এসেছে। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন কতটা শক্তিশালী হয় এবং লোকসভার ময়দানে তিনি কীভাবে সংগঠনের কর্মীদের শক্তিশালী করেন সেদিকেই নিচুতলার কর্মীরা তাকিয়ে আছেন।