পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিট আমরা এরমধ্যেই খুলে দেব। এজন্য সমস্তরকম প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চলে এসেছে। আমরা চিকিৎসকও পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এলে এর উদ্বোধন করবেন। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ মিদ্যা বলেন, আধুনিক মেশিনপত্র দিয়ে ট্রমা কেয়ার ইউনিট সাজানো হয়েছে। এখানে দু’জন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এলাকার দাবিকে মান্যতা দিয়েই সরকার ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি করেছে। এরমধ্যেই এটি খুলে দেওয়া হবে। ইউনিট চালু হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক দিয়ে ইসলামপুর অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
সম্প্রতি বিধানসভার স্বাস্থ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি দ্রুত চালু করার প্রতিশ্রতি দিয়ে যান। ইসলামপুর শহরের লাইফ লাইন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়া একমুখী এই রাস্তায় প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট বড় যান চলাচল করে। টোটো, অটো, মোটর বাইক ও প্রাইভেট গাড়িও চলে। ফুটপাত দখল থাকায় পথচারীদের জাতীয় সড়কের ওপর দিয়েই হেঁটে চলাচল করতে হয়। এতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা সংকটজনক হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কিংবা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করতে হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীর অবস্থা আরও জটিল হয়ে যায়। অনেক সময় রোগীর মৃত্যুও হয়। আর্থিকভাবে যাঁরা দুর্বল তাঁরা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে পারেন না। যাঁরা যান তাঁরা অনেকক্ষেত্রেই শেষমেশ ঘটিবাটি বিক্রি করতে বাধ্য হন। অধিকাংশ গরিব পরিবার সরকারি হাসপাতালের ওপরেই নির্ভর করে। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামপুর হাসপাতালে উন্নত এই পরিষেরা চালুর খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। ইউনিট চালু হলে চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি ব্লকের বাসিন্দাদের পাশাপাশি সংলগ্ন বিহারের বাসিন্দারাও চিকিৎসা পাবেন।