কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তপন সিনহা বলেন, আলিপুরদুয়ারের এই স্কুলটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। সেজন্য শহরে বাংলা মাধ্যমের এই স্কুলটির পড়ুয়া সমস্যা কাটাতে শিক্ষা দপ্তরে স্কুলটিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত যুক্ত করে ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে এই স্কুলের শিক্ষকদের কালচিনি রঘুনাথ মুর্মু হাইস্কুলে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু স্কুলটি হিন্দি মাধ্যম হওয়ায় শিক্ষকরা সেখানে যাননি। যাই হোক ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত হলে স্কুলটির পড়ুয়া না হওয়ার সমস্যা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করছি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি কনজবল্লভ গোস্বামী বলেন, ছাত্র পড়ানোর সুযোগ না থাকলে শিক্ষকদের খারাপ লাগারই কথা। তবে শুনেছি বাংলা মাধ্যমের স্কুলটিকে এবার ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত করা হচ্ছে। এতে পড়ুয়া না থাকার সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে হয়। কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, পড়ুয়া না থাকায় স্কুলে এসে আমরা পড়ানোর কোনও সুযোগই পাচ্ছি না। তবু রোজ নিয়ম করে আমরা স্কুলে আসি। কিন্তু ছাত্র না পড়িয়েও এভাবে বেতন নেওয়ার বিষয়টি আমাদের যন্ত্রণা দিচ্ছে। আমরা পড়াতে চাই। সেজন্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে আমরা আবেদন করেছি আমাদের ছাত্র পড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হোক। স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সুবলচন্দ্র রায় বলেন, ছাত্র না থাকায় দিনের পর দিন বসে থাকার জন্য আমাদের নিজেদেরও শিক্ষাদানের চর্চায় মরচে পড়ছে। স্কুলে এসে পড়ানোর সুযোগ না থাকার যন্ত্রণা আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। স্কুলের অশিক্ষক কর্মী গৌতম রায় বলেন, পড়ুয়া না থাকায় কোনও কাজ করতে পারছি না। তবে রোজ নিয়ম করে স্কুলে আসি। কিন্তু স্কুলে এসে বসে থাকতে ভালো লাগে না। আমরা কাজ করতে চাই।
আলিপুরদুয়ার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় সুন্দর পরিবেশে হাইস্কুলটি রয়েছে। পড়ুয়া না থাকায় স্কুলের সমস্ত শ্রেণীকক্ষ তালাবন্ধ। কান পাতলে তালাবন্ধ শ্রেণীকক্ষে সাপের হিসহিস শব্দ শোনা যায়। পড়ুয়াদের দাপাদাপি না থাকায় স্কুল চত্বর জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। স্কুলটিতে বর্তমানে পাঁচ জন শিক্ষক ও তিন জন অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে স্কুলটি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। পরে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী তুলে দিয়ে শুধুমাত্র নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী রাখা হয়। শিক্ষা মহলের মতে, অভিভাবকরা ভর্তির ঝক্কি এড়াতে একই স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াতে চান। কিন্তু এখানে নবম শ্রেণী থেকে শুরু হওয়ায় অভিভাবকরা এই স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে রাজি হন না। পাশাপাশি শহরে এখন প্রচুর বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। বেশিরভাগ অভিভাবক এখন তাঁদের সন্তানদের সেখানে পড়ানোর দিকেই ঝুঁকেছেন। তাই স্কুলটির এই হাল হয়েছে।