গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী ভিক্টর বসু বলেন, এখনও যেভাবে ওই এলাকায় দেদার পাহাড়ের মধ্যে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কয়লা চুরি চলছে তাতে ভবষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে ওদলাবাড়ি ও কালিম্পংয়ের বহু গ্রামকে। আমরা চাই প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বেআইনিভাবে ওই এলাকার কয়লা চুরি বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক। না হলে সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে ওদলাবাড়ি ও কালিম্পংয়ের বাসিন্দাদের জন্য। বন দপ্তরের চেলরেঞ্জের রেঞ্জার পি বি সুব্বাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে ওই রেঞ্জের বিট অফিসার নরবাহাদুর সুব্বা বলেন, এর আগেও অনেক কয়লা নিয়ে আসা সাইকেল ধরা হয়েছে। দেখামাত্রই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। মাল মহকুমা শাসক সৈয়াদ এন বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাই বিষয়টা ঠিক জানি না। তবে এমনটা হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, কয়লাচুরির বিষয়টা আমি শুনেছি। সেটা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, কালিম্পং জেলার চুইখিম, এলবং, বাগরাকোট, চুনাভাটি পাহাড় এলাকা থেকেই মুলত এই কয়লা চুরি হয়ে যাচ্ছে। এক সময় চুইখিম এলাকার বাসিন্দারা এই কাজে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা বর্তমানে কয়লাচুরি বন্ধ করে হোমস্টের ব্যবসায় নেমে পড়েছেন। কিন্তু এখনও মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির বাসিন্দারা প্রতিদিন প্রায় ১০০ সাইকেলে করে অথবা ডোকোতে নদী পথে কয়লা চুরি করে নিয়েআসে। সেই কয়লা জমা হয় ওদলাবাড়ির তামাংবস্তি ও ঘিসবস্তিতে। সেখান থেকেই এই কয়লা মাফিয়ারা ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে পাচার করে দিচ্ছে। পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক ভাবে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ করে কয়লা তোলা হচ্ছে। ফলে অনেক সময় কয়লাখনিতে ধস নামছে। অতীতে কয়লা চোরেরা মারাও গিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের নীচ থেকে সুড়ঙ্গ কেটে কয়লা তোলার ফলে পাহাড়ের উপরে থাকা বস্তিগুলিও বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বর্ষার সময় মাঝেমধ্যে এই অঞ্চলে ধস নেমে রাস্তা যেমন বসে যাচ্ছে তেমনি গ্রামেও ধস নামছে। এভাবে চলতে থাকলে পাহাড়ের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা ঘিস, লিস নদীর উপর পাহাড় ধসে গিয়ে নদীর মুখ আটকে যেতে পারে। এতে বড়সড় বিপত্তি দেখা দেবে।