রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রোজিনা বিবি বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য আমরা গ্রামে দু’টি ক্যানেল খননের কাজে হাত দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যানেল খনন করা হচ্ছে। দু’টি ক্যানেলই পাশেই মহানন্দা নদীর সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে। ক্যানেলের জল কৃষিকাজে ব্যবহার করা হবে। জমির উদ্বৃত্ত জল ক্যানেলে নামানোর জন্য অনেকটা নিচু করে খনন কাজ চলছে। বর্ষার পর ছ’মাস যেসব জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে। এতে গ্রামের শতাধিক কৃষকই উপকৃত হবেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলম বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে গ্রামের অব্যবহৃত জমিতে নতুন করে ফসল ফলবে। পুরাতন মালদহ ব্লক সিপিএমের নেতা প্রবীর লাহাড়ি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জমির পাশে ক্যানেল তৈরি যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা পাট্টা মালিকানার জমিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের অনুমতি নিয়ে থাকলে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে যতদূর জানি ওই জমিতে এখন ক্যানেল বানিয়ে পরবর্তীতে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত তা নিজেদের দখলে নেবে। এমনটা হলে আমরা আন্দোলন করব।
মাহিষবাথানি গ্রামের নিচু অংশে বর্ষার সময়ে জল দাঁড়িয়ে যায়। গ্রামের প্রায় ১৭০০ বিঘা জমিতে বছরের ছ’মাস প্রায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। তাই ওই জমিতে কৃষকরা চাষবাস করতে পারেন না। গ্রামের চাষিদের সুবিধার্থেই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে জলাজমি খনন করে ক্যানেল তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। এজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দু’টি পৃথক এলাকায় ক্যানেল খনন করা হচ্ছে। ক্যানেল দু’টির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এলাকায় চাষের ক্ষেত্রে নতুন দিশা খুলে যাবে, দাবি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। ওই দু’টি ক্যানাল সরাসরি মহানন্দা নদীর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। বর্ষার জল এই ক্যানেলে ধরে রাখা হবে। উদ্বৃত্ত জল পার্শ্ববর্তী মহানন্দা নদীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ক্যানেলের মূল প্রবাহে যে জল জমা থাকবে তা দিয়ে বর্ষা বাদে অন্যান্য সময়ে চাষের কাজে ব্যবহার করা হবে।
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহানগর মাঠ থেকে গাহুলাদাঁড়া পর্যন্ত এবং বাঘাবাড়ি থেকে বোয়ালমারি পর্যন্ত দু’টি পৃথক ক্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। দু’টি ক্যানেল মিলিয়ে মোট দেড় কিমি খনন করার কাজ শুরু হয়েছে। দু’টি ক্যানেলই মহানন্দার সঙ্গে সংযোগ করা হচ্ছে। এই দু’টি ক্যানেল সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে গেলে প্রায় ১৭০০ বিঘা জলাজমি চাষের উপযোগী হয়ে যাবে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাহনগর, ইমামনগর মাঠ এবং বাঙালবাড়ি মাঠ প্রতিবছরই বর্ষার জলে প্লাবিত হয়। এরপর প্রায় মাস ছ’য়েক ওই জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে এলাকার কৃষকরা বছরের একবারের বেশি ওই জমিতে চাষ করতে পারেন না। এলাকার কিছু নিচু জমিতে সারা বছরই চাষ করা যায় না। এতে কৃষকরা সমস্যায় পড়েন। ক্যানেল তৈরি হয়ে গেলে ওই এলাকার খেতগুলিতে বর্ষার জল দাঁড়িয়ে থাকবে না। কৃষকরা ওই জমিতে দুই থেকে তিনবার চাষাবাদ করতে পারবেন। এতে শতাধিক কৃষক পরিবার উপকৃত হবে।