বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূলের লতিকা সিংহ রায়চৌধুরি বলেন, সিপিসিতে চাষিরা ধান দিয়ে হাতে হাতে চেক পাচ্ছেন না। চেক নিতে বিডিও অফিসে যেতে হচ্ছে। ধান বিক্রি করে দুই তিনদিন পরেও চেক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শুনেছি। এবিষয়ে বিডিও এবং জেলাশাসককে জানাব। চোপড়ার বিডিও জুনেইদ আহমেদ বলেন, চেক বিতরণ স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। এনিয়ে আমরা কয়েক দিন আগেই মিটিং করেছি। কোনও কোনও দিন রাত পর্যন্ত ধান নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে পরের দিন চেক দেওয়া হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখব। এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামক অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এরকম কোনও অভিযোগ পাইনি।
চোপড়া, ইসলামপুর ও চাকুলিয়ার অনেক চাষিই বলেন, ধান দিয়ে হাতে হাতে চেক মিলছে না। দুই তিন দিন ঘুরতে হচ্ছে। সিপিসিতে ধান দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে চেক ইস্যু হয় না। চেক নিতে বিডিও অফিসে যেতে হয়। এদিকে ইসলামপুর সিপিসিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে চাষিদের ধান নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার মিলার আসেননি। কিন্তু সেদিন চাষিরা ধান নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলি মজুত হয়ে থাকে। বুধবার মিলার এলেও সামান্য পরিমাণে ধান নিয়েছে। ফলে প্রচুর ধান মজুত হয়ে আছে। মিলার ধান না নেওয়া পর্যন্ত চাষিরা চেক পাচ্ছে না। ফলে বৃহস্পতিবার দিন নতুন করে চাষিদের কাছ থেকে ধান নেওয়া হয়নি। মজুত ধানই তোলা হয়েছে। একজন মিলার এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও সম্পূর্ণ পরিমাণ ধান তোলেনি।
চাষিরা আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টায় সিপিসি খুলবে ও বিকেল ৩টায় তা বন্ধ হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সিপিসি খোলা হয় না। অনেক সিপিসিতে দুপুর ২টোর সময় মিল মালিক ধান কিনতে আসেন। অনেক রাত পর্যন্ত সেই ধান কেনা চলে। এতেও সমস্যা হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রগুলিতে ফড়েদের উপদ্রবও বন্ধ হয়নি। সিপিসিগুলিতে প্রতিদিনই ফড়েদের দেখা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে প্রশাসকের কর্তারা সমস্তটাই জানেন। কিন্তু ফড়েরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থনে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এদিকে সমস্যা হয়েছে, ধান কেনার বিষয়টি খাদ্য দপ্তর দেখলেও চেক ইস্যু করছে বিডিও অফিস। এক্ষেত্রে দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও দেখা দিয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ২০১৮-২০১৯ খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকার কুইন্টাল প্রতি ১৭৫০ টাকা সহায়ক মূল্যে ১ নভেম্বর থেকে ধান ক্রয় শুরু করেছে।। কুইন্টাইল প্রতি বাড়তি ২০ টাকা করে উৎসাহ মূল্যও দেওয়া হয়। জেলার ৯টি ব্লকে মেন সিপিসি ও অ্যাডিশনাল মিলে মোট ১৭টি সিপিসি খোলা হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে ধানের দাম মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘ধান দিন চেক নিন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিপিসিতে ধান কেনা শুরু হয়। কিন্তু ধান দিয়ে চেক পেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এতেই চাষিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।