বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
যুবনেতা কৌস্তভ তলাপাত্র এদিন নিজের বাড়ির সামনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় প্রভাবশালী কারো হাত রয়েছে বলে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় শাহ। তিনি বলেন, বারবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট করে মারধর করা হচ্ছে। এদিন এর পিছনে একটি বড় শক্তির মদত রয়েছে। দলের এক জেলা নেতার বিরুদ্ধেও তিনি মারধরের অভিযোগ করেছেন। অজয়বাবু বলেন, কৌস্তভ আমাদের দলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে তৃণমূল নেতার আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক পিটিয়েছে। এদিন কৌস্তভের বাড়িতে ঢোকার রাস্তা আটকে গাড়ি রাখা হয়েছিল। সে তার প্রতিবাদ করতেই দলের নেতার অনুগামীরা তাঁকে মারতে মারতে জেলা পরিষদে নিয়ে যায়। মাস খানেক আগে পাহাড়পুরে যুব’র অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক পেটানো হয়। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈকতবাবু বলেন, আমার সংগঠনের জেলা যুব সম্পাদক কৌস্তভ আক্রান্ত হয়েছে বলে শুনেছি। এখন বাইরে আছি। খোঁজ নিচ্ছি কেন এমনটা হল। কৌস্তভ নিজেও এদিন আমাকে জানিয়েছে, দলের এক পদাধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেছে। এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত দলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ দাস বলেন, এক যুবক এদিন আমাদের দলের কর্মীদের অনেকের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়েছে, গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দিয়ে তাণ্ডব করছিল। ওই সময় তাকে হাতেনাতে ধরে কয়েকজন মারধর করেছে। আমি তখন সভাস্থল থেকে বেরিয়ে জনরোষ দেখতে পেয়ে আক্রান্ত যুবককে মারের হাত থেকে সকলকে নিরস্ত্র করি। পুলিসে খবর দিয়েছি। ওই ধরনের নেশাগ্রস্ত যুবক দলের যুব সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছে কিনা তা জানি না। তবে এদিনের ঘটনা পুরোটাই একটা জনরোষ। কোনও রাজনৈতিক ব্যাপারই নেই। যাদের গাড়িতে হামলা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে এদিন কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। প্রায় মাসখানেক আগে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে যুবর অঞ্চল সভাপতি লুৎফর রহমান আক্রান্ত হওয়ায় মাদারের সঙ্গে যুবর লড়াই প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের কিষান ক্ষেতমজদুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্নার সভায় দলের সবাইকে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়ে বেরিয়ে যেতেই মাদারের নেতা কর্মীদের হাতে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই যুবনেতা।