বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এ নিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন দীপা দাশমুন্সি এবার লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী হচ্ছেন। সংগঠন মানুষকে নিয়ে হয়। নেতাদের নিয়ে নয়। সেখানে আমাদের সংগঠন দুর্বল হয়নি। ভোটেই তার প্রমাণ মিলবে। ইসলামপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, ব্লকে ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে আমরা ১০টিতে অঞ্চল সভাপতি নির্বচিত করেছি। বাকি তিনটিতেও একাজ শীঘ্রই হয়ে যাবে। অঞ্চল সভাপতিরাই বুথ কমিটি তৈরি করবেন। চাকুলিয়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, আমাদের ১১টি অঞ্চলের মধ্যে দু’টি অঞ্চলের সভাপতি নেই। অনেক জায়গায় বুথ কমিটিও তৈরি করতে হবে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি বুথে কমিটি তৈরি করে ফেলব। কেউ কেউ আমাদের দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাদের অনেকেই আবার দলে ফিরে আসতে চাইছেন। আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশী। যুব, মহিলা, কৃষক সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলিকেও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, আমাদের কিছু অঞ্চল ও বুথে কমিটি নেই। শীঘ্রই কমিটিগুলি তৈরির কাজ করা হবে। চোপড়ায় পুলিস ও তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। চোপড়ায় কংগ্রেসকে কেউ মুছে দিতে পারবে না। গোয়ালপোখর ও করণদিঘিতেও একই অবস্থা। সেখানকার নেতৃত্ব জানিয়েছে, বুথ কমিটি গড়ার উপরই জোর দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুর এক সময় কংগ্রেসের ঘাঁটি ছিল। বারংবার এখান থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন আব্দুল করিম চৌধুরী। পরে তিনি তৃণমূলে চলে যান। এখন আবার নিজে দল পড়েছেন। পরবর্তীতে এই আসনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী বিধায়ক হন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। দীর্ঘদিন তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে পুরসসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে পুরসভার কংগ্রেসের কাউন্সিলার ও ব্লক কংগ্রেসের একাধিক নেতা দল বদল করেন। এরপরে ইসলামপুরে কংগ্রেসের ভিত দুর্বল হয়ে যায়। লাগাতার দলে ভাঙন চলতে থাকে। কংগ্রেসের পুরনো বহু নেতা-কর্মী এখন তৃণমূলে। এরফলেই কংগ্রেসের সমস্ত কমিটি ভেঙে যায়। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বচনের আগেও এখানে কংগ্রেস সমস্ত বুথ কমিটি তৈরি করতে পারেনি। শুধু কর্মীরাই দল বদল করেছেন এমনটি নয়, রাতারাতি পার্টি অফিসও বদলে গেছে। বাস টার্মিনাস এলাকায় শহর কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস ছিল। কানাইয়াবাবু কংগ্রেসের টাউন সভাপতি থাকার সময় ওই পার্টি অফিসেই বসতেন। কানাইবাবুর দল বদলের সঙ্গে সঙ্গে ওই পার্টি অফিসেও ঝান্ডা বদলে যায়। এপ্রসঙ্গে মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, যে সময় পার্টি অফিসে কংগ্রেসের ঝান্ডা খুলে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগানো হয়েছিল সেসয় কংগ্রেস অত্যন্ত দুর্বল ছিল। এখন অনেকটাই শক্তি ফিরে পেয়েছে। আমরা ওই পার্টি অফিসের দখল নেব। দীপা দাশমুন্সির টাকায় অফিসটি তৈরি হয়েছে। সেখানে অন্য দলের পতাকা উড়তে পারে না।
গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া বিধানসভাতেও শক্তি ছিল। একসময় দীপা দাসমুন্সি গোয়ালপোখরের বিধায়ক ছিলেন। পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানিও প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেখানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। পঞ্চায়েত নির্বচনে এখানে কংগ্রেস ভালো ফল করেনি। কংগ্রেস প্রতীকে জয়ী অনেক পঞ্চায়েত সদস্য দল বদল করেছেন।