প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমরা জমি কিনে সার্বিক আলোচনার মধ্যদিয়ে ওখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এভাবে বারবার বিএসএফের বাধার কারণে সমস্যা হচ্ছে। সম্ভবত বিএসএফ কর্তারা ভুল বুঝছেন। তাতে অর্ন্তঘাতও থাকতে পারে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, বিএসএফের ওখানে কোনও ক্যাম্প নেই ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাও কেন এভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানি না। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। স্বভাবতই এসবের জেরে সাফাই সংকট তৈরি হচ্ছে। পুরসভার বাসিন্দা তথা বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্ববান নয়। সেই কারণেই বারবার তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। টাকা দিয়ে যদি জমি কেনাই হলো তবে অবিতর্কিত জমি কেনা বেশি জরুরি ছিল। শহরের সাফাই নিয়ে এই ডামাডোল মানুষ বেশিদিন সহ্য করবে না। এনিয়ে বিএসএফ কর্তারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মালদহের ইংলিশবাজার পুরসভার সাফাই নিয়ে সংকট বহু বছরের। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন পুরবোর্ড কাঞ্চনটাঁড়ে জমি কিনে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানানোর কাজ শুরু করেছিল। সেই সঙ্গে শহরের আবর্জনা সেখানে ফেলাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ওই প্রস্তাবিত গ্রাউন্ডের পাশে বর্ডার রোড থাকার কারণে বিএসএফের তরফে আপত্তি উঠতে শুরু করে। তাদের দাবি, এতে দূষণ ছড়াবে। এনিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই মঙ্গলবার বিকালে আবর্জনা ফেলতে যাওয়া যাবতীয় গাড়িকে বিএসএফ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যাওয়ার আগে আটকে দেয়। পুরসভার একাধিক ট্রাক্টর সহ সাফাইয়ের গাড়ি দীর্ঘসময় বিএসএফ জওয়ানদের সক্রিয় অবরোধে আটকে থাকে। পরে পুরসভার অফিসাররা গিয়ে কর্মীদের ছাড়িয়ে আনলেও আবর্জনা ফেলতে বিএসএফ দেয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে পুরসভা মহদিপুরের কাছে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড পছন্দ করেছিল। কিন্তু সেখানেও বিএসএফর বাধাতে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয়। বারবার বিএসএফের এই আপত্তির পিছনে অর্ন্তঘাত আছে বলে পুরকর্তাদের একাংশ আশঙ্কা করছেন। ওই অংশের দাবি, বর্ডার রোড থাকলেও প্রস্তাবিত জমির আশেপাশে কোনও বিএসএফ ক্যাম্প নেই। ফলে দূষণের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যে আবর্জনা ফেলা হবে তা প্রক্রিয়াকরণ করা নিয়েও পরিকল্পনা হয়েছে। ফলে আবর্জনা ওখানে থাকবে না।
এদিকে, ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে ডামাডোলে ফের শহরের সাফাই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বুধবারই ঠিকমতো সাফাই শহরে হয়নি। কারণ তুলে নিয়ে যাওয়া আবর্জনা ফেলার কোনও বিকল্প জায়গা পুরসভার নেই। ফলে গাড়ি বোঝাই হয়ে পুরনো আবর্জনা থেকে যাওয়ায় সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে বৈঠক ডাকা হলেও যতদিন সমস্যা না মিটছে সাফাইয়ের কি হবে? সে প্রশ্নের উত্তর কোনও মহলের কাছেই নেই।