প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
বালুরঘাট পুরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক সুব্রত মহন্ত বলেন, মাস ছ’য়েক আগে নিয়ম না মেনে পুরসভা কিছু সুপারভাইজার নিয়োগ করেছিল। কিন্তু তাঁদের বেতন দেওয়ার জন্য আমাদের হাতে এখন টাকা নেই। মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ গচ্ছিত টাকা টাকার সুদ থেকে এঁদের বেতন দেওয়া হতো। সুদের টাকা এভাবে অন্য খাতে ব্যয় করা আইনসঙ্গত নয়। সেকারণেই বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের ছাঁটাইয়ের বিষয়টি স্থির হয়েছে। মহকুমা শাসক ইশা মুখোপাধ্যায় ছুটিতে আছেন। উনি কাজে যোগ দিলেই ওই সুপারভাইজারদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হবে।
বালুরঘাট পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের রাজেন শীল বলেন, আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে এসএসকে’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার সুপারভাইজার নিয়োগের প্রস্তাব এনে ছিলেন। তাতে বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলারদের সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এখন আমি পদে নেই, তাই এর থেকে বেশিকিছু বলতে পারব না।
পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেত্রী আরএসপি’র সুচেতা বিশ্বাস বলেন, আমরা জানতাম একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে। কিন্তু কীভাবে দু’জন করে নিয়োগ করা হয়েছিল জানি না। বেতনের উৎস ঠিক না করেই পুরসভা এটা করেছিল। আসলে বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৃণমূল ছিনিমিনি খেলছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের মাঝামাঝিতে বালুরঘাট পুরসভা তাদের বোর্ড মিটিংয়ে ২৫টি ওয়ার্ডের ১০৮টি এসএসকে’র মিড ডে মিলের কাজ খতিয়ে দেখতে দু’জন করে সুপারভাইজার নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করে। নবনিযুক্ত ৫০ জন সুপারভাইজারকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকার সুদ থেকে তাদের বেতন দেওয়ার বিষয়টি স্থির হয়। এতদিন সব ঠিকঠাক চললেও বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক দায়িত্ব নিতেই এটি নজরে আসে। পুরসভায় সুপারভাইজারের কোনও পদ নেই। কীভাবে পদ তৈরি করা হল, সেনিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, সরকারের বরাদ্দ টাকা ব্যাঙ্কে রেখে যে সুদ মিলছিল তাই ওই খাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল।